নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর ককটেল ছোড়ার অভিযোগের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘আমরা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ৮ তারিখে পল্টন থানায় যে মামলাটি হয়েছে বিস্ফোরক আইনে, সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দুজনকে আমরা কোর্টে প্রেরণ করব।’
‘পল্টন থানায় ৮ তারিখের (বৃহস্পতিবার) ১০ নম্বর মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিস্তারিত জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘পুলিশের ওপরে বর্বরোচিত যে হামলা হয়েছে, ককটেল নিক্ষেপ করেছেন এবং অনেক জানমালের ক্ষতি হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে...। তাদের অপরাধ হলো, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করেছি।’
বিএনপির কোনো কেন্দ্রীয় নেতা নজরদারিতে আছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি। আর কেউ যদি এমন অপরাধ করেন, তারা আমাদের নজরদারিতে থাকবেন, তাদের বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে ফখরুল ও আব্বাসকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের বাসা থেকে আটক করে ডিবি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৩টার পরে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার উত্তরার বাসভবন থেকে এবং ৩টা ২০ মিনিটে মির্জা আব্বাসকে তার শাহজাহানপুরের বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।’
অন্যদিকে শুক্রবার ভোরে রাজধানীর উত্তরা বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রী রাহাত আরা।
তিনি বলেন, ‘ডিবি পুলিশ বাসার আশপাশে গাড়ি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকেই অপেক্ষমাণ ছিল। রাস্তার লাইটও বন্ধ করে দিয়েছিল। বাসার নিচের লোকদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বেশ রাত করেই বাসায় ফিরেছেন। শরীরটা তার ভালো ছিল না। তাই এসে সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে যান। পরে ওরা (ডিবি) এলে কিছু ওষুধপত্র নিয়ে চলে যান।’