বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জরুরি বৈঠক শেষে বিএনপি নেতাদের মুখে কুলুপ, সিদ্ধান্ত ঘোষণা ব্রিফিংয়ে

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:৫৩

আপনারা কী সিদ্ধান্ত নিলেন- এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘এখন আমরা কিছুই বলতে পারব না, স্যরি।’ সমাবেশটা কোথায় হবে, এটা যদি বলতেন- এমন কথারও জবাব আসেনি। তিনি বলেন, ‘স্যরি, একদমই স্যরি। কোনো কথা বলতে পারব না। আপনারা জানবেন শিগগিরই। বাট নাও, ইটস নট দ্য রাইট টাইম।’

ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কিছুই জানালেন না বিএনপির নেতারা। জানিয়েছেন, যা বলার বলবেন সংবাদ সম্মেলনে।

দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটির সদস্যরা জানান, বেলা ৩টায় গুলশানের দলীয় চেয়ারপারসন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন খন্দকার মোশারফ হোসেন।

সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগের রাতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক এবং শনিবারের সমাবেশ নিয়ে আলোচনা হয় এতে।

ঘণ্টা দুয়েক পর বৈঠক শেষ হলেও নেতারা কিছু জানাননি। আপনারা কী সিদ্ধান্ত নিলেন- এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘এখন আমরা কিছুই বলতে পারব না, স্যরি।’

সমাবেশটা কোথায় হবে, এটা যদি বলতেন- এমন কথারও জবাব আসেনি।

তিনি বলেন, ‘স্যরি, একদমই স্যরি। কোনো কথা বলতে পারব না। আপনারা জানবেন শিগগিরই। বাট নাও, ইটস নট দ্য রাইট টাইম।’

বৈঠকে থাকা স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে একাধিকবার ফোন করা হলে তারা কেউ ফোন ধরেননি।

পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘সব জানবেন। বেলা ৩টায় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে ব্রিফিং করবেন।’

নয়াপল্টন অবরুদ্ধ

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে জমায়েতের পর থেকে প্রতি শনিবার বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে ধারাবাহিক যে সমাবেশ করে আসছে, তার শেষ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় ১০ ডিসেম্বর।

রাজধানীতে বিএনপির এই সমাবেশটি হবে কী হবে না, তা নিয়ে এখনও কাটেনি অনিশ্চয়তা। জনসভাস্থল কোথায় হবে, এ নিয়ে বিরোধই এর কারণ।

বিএনপি সমাবেশটি করতে চেয়েছিল নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে। তবে পুলিশ অনুমতি নিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনেই জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে বুধবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয় সেখানে। প্রাণ হারান একজন।

তবে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকার যে পরিস্থিতি, তাতে সেখানে জড়ো হওয়ার মতো কোনো সুযোগই পুলিশ দিচ্ছে না। শুক্রবার সকালেও নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ের ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ মানুষ ও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এমনকি গোটা সড়কে অলিগলিতেও বসানো হয়েছে পুলিশের পাহারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আর গণমাধ্যমকর্মীরা ছাড়া গোটা এলাকায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। দোকানপাটও বন্ধ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানও।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এসে পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। বলেন, তারা যাবেন, জনগণও যাবে। বাধা এলে জনতাই সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কী করবে।

তবে রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠকে বরফ গলার উপক্রম হয়। সিদ্ধান্ত হয় বিএনপি কমলাপুর স্টেডিয়াম অথবা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করবে।

তবে গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের তুলে নেয়ার ঘটনায় তৈরি হয়েছে নতুন এক পরিস্থিতি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসে বিএনপি।

এ বিভাগের আরো খবর