বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নয়াপল্টন থেকে ফেসবুক লাইভ করে আটক

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:৩৩

মতিঝিল বিভাগে সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহানী ছাত্রদল নেতার বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রবিন কার্যালয়ের সামনে এসে ফেসবুকে লাইভে গিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছিল। এ কারণে তাকে আটক করা হয়।’ দ্বিতীয়জনের নাম রহমত উল্লাহ। পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বলছিলেন, তিনি কোনো দল করেন না।

রাজধানীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগের দিন নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ফেসবুক লাইভ দিয়ে আটক হয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা ও এক পোশাক কারখানার কর্মী। তাদের ধরা হয় উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে, যদিও তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কী অভিযোগ, তা জানানো হয়নি।

আটক ছাত্রদল নেতার নাম আব্দুল্লাহ আল রবিন। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বলে জানিয়েছে পুলিশ। পোশাককর্মীর নাম রহমত উল্লাহ। তিনি কোনো দল করেন না বলে দাবি করছিলেন।

ছাত্রদল নেতাকে আটক করে সাদা পোশাকের পুলিশ আর পোশাককর্মীকে আটক করেন পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের কর্মকর্তারা। তাদের পল্টন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ছাত্রদল নেতাকে যখন বাইকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তিনি জোরে জোরে দুই হাত তুলে বলছিলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’

মতিঝিল বিভাগে সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রবিন কার্যালয়ের সামনে এসে ফেসবুকে লাইভে গিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছিল। এ কারণে তাকে আটক করা হয়।’

তবে ছাত্রদল নেতা কী বলেছিলেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ। ছাত্রদল নেতার সঙ্গেও কথা বলা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন।

ফেসবুক লাইভ করার সময় আটক রহমত উল্লাহ পোশাক কারখানায় কাজ করেন বলে জানিয়েছেন। বলেছেন তিনি কোনো দল করেন না

কিছুক্ষণ পর একই অভিযোগে আটক হন রহমত উল্লাহ নামে দ্বিতীয় জন। তাকে পুলিশ ভ্যানে করে পল্টন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটক করার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলছিলেন, ‘আমি কোনো দল করি না।’

পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একজন উপকমিশনার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রহমত ফেসবুকে লাইভ করতে করতে কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। লাইভে উসকানিমূলক বক্তব্য ছিল। তিনি এই এলাকার পরিস্থিতি দেখাচ্ছিলেন।’

সকাল থেকে নয়াপল্টন অবরুদ্ধ

এই কর্মসূচিকে ঘিরে কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ। বিএনপি সমাবেশটি করতে চেয়েছিল নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে। তবে পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে না গিয়ে নয়াপল্টনেই জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে বুধবার ব্যাপক সংঘর্ষ হয় সেখানে। প্রাণ হারায় একজন।

তবে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকার যে পরিস্থিতিতে, তাতে সেখানে জড়ো হওয়ার মতো কোনো সুযোগই পুলিশ দিচ্ছে না। শুক্রবার সকালেও নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ মানুষ ও যান চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এমনকি গোটা সড়কে অলিগলিতেও বসানো হয়েছে পুলিশের পাহারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আর গণমাধ্যমকর্মীরা ছাড়া গোটা এলাকায় মানুষের উপস্থিতি খুবই কম। দোকানপাটও বন্ধ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানও।

নয়াপল্টনে যাওয়ার প্রতিটি পথ এভাবে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আছে পুলিশের সতর্ক অবস্থান

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এসে পুলিশের নিষেধ সত্ত্বেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। বলেন, তারা যাবেন, জনগণও যাবে। বাধা এলে জনতাই সিদ্ধান্ত নেবে তারা কী করবে।

তবে রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠকে বরফ গলার উপক্রম হয়। সিদ্ধান্ত হয় বিএনপি কমলাপুর স্টেডিয়াম অথবা মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করবে।

তবে গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেয়ার ঘটনায় তৈরি হয়েছে নতুন এক পরিস্থিতি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতারা জরুরি বৈঠকে বসলেও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কিছু না বলে বেরিয়ে যান।

এ বিভাগের আরো খবর