বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটকের পর জরুরি বৈঠকে বসেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
নিজ নিজ জায়গা থেকে শুক্রবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত হন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘মহাসচিব এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের তুলে নেয়া আর এহেন পরিস্থিতিতে বিশদ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই এই জরুরি মিটিং।’
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিটিং চলমান। অপেক্ষা করুন।’
তিনি বলেন, ‘মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া এবং ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে এই মিটিং করা হচ্ছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সমঝোতার পর প্রস্তাবিত দুটি স্থান পরিদর্শনে যায় বিএনপি।
পরিদর্শন শেষে মির্জা আব্বাস রাত ১টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। কোনো মাঠই নিরাপদ নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।
‘আমরা প্রস্তুত আছি, তবে মারামারির জন্য প্রস্তুত নই।’
বিএনপির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়, সাড়ে ১০টায় মির্জা আব্বাসের বাসায় স্থান নির্ধারণ ইস্যুতে বৈঠক হয়।
রাত ১১টা ৪২ মিনিটে কল দিলে মির্জা আব্বাসও বাসায় মিটিং চলমান বলে জানান নিউজবাংলাকে। পরে নিউজবাংলার প্রতিবেদক রাত ১২টার দিকে মির্জা আব্বাসের বাসায় গিয়ে বৈঠকের কোনো আলামত দেখতে পাননি।
আব্বাসের বাড়ির এক কেয়ারটেকার বলেন, ‘তারা সবাই ১০টায় একসঙ্গে বের হয়ে গেছেন।’
রাত ৩টার দিকে প্রথমে মির্জা আব্বাস ও পরে মির্জা ফখরুলকে ডিবি সদস্যরা তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে বিএনপি ও উভয়ের পরিবার। শুক্রবার ডিবির পক্ষ থেকে দুজনকে আটকের কথা জানানো হয়।