বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নয়াপল্টনজুড়ে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা

  •    
  • ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৪৩

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘ডিএমপির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই সড়কজুড়ে সিসিক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বিএনপির কার্যালয়ের পাশাপাশি এখানে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হচ্ছে।’

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের পর ওই এলাকার সড়কজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে ক্যামেরাগুলো বসানো হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে।

নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সড়কের ল্যাম্পপোস্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিসিটিভি বসানোর দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, ‘এই এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা আগে থেকেই কিছু ছিল। সেগুলো চেক করা হচ্ছে। নতুন করে আরও কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।’

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘ডিএমপির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এই সড়কজুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বিএনপির কার্যালয়ের পাশাপাশি এখানে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হচ্ছে।’

সিসি ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি নাইটিঙ্গেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। এ দুই মোড়ের মধ্যবর্তী জায়গায় কোনো যান চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না।

নয়াপল্টনে সড়কের ল্যাম্পপোস্টে সিসিক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ছবি: নিউজবাংলা

এই অংশে সব দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় কোনো সাধারণ মানুষকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তাদের অন্য এলাকা দিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির বিভাগীয় ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে ১০ ডিসেম্বর যে সমাবেশটি ঢাকায় ডাকা হয়েছে, সেই সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে বুধবার নয়াপল্টন হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র।

বিএনপি শনিবারের সমাবেশটি করতে চায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে, কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে যেতে রাজি না হয়ে অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করার কথা জানায় বিরোধী দলটি। বুধবার সকাল থেকে সেখানে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে চলতে থাকে বক্তব্য। দুপুরের পর সামনের সড়কে অবস্থানকারী নেতা-কর্মীদের পুলিশ সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ।

বিএনপি কর্মীদের ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ ব্যবহার করে কাঁদানে গ্যাস আর রাবার বুলেট। একজনের প্রাণহানির পর ৩০০ জনকে করা হয় আটক, যাদের মধ্যে আছেন ১০ ডিসেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে দেশ চালানোর ঘোষণা দেয়া আমান উল্লাহ আমান ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। গ্রেপ্তার হন কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী।

সন্ধ্যায় তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করে পুলিশ। তল্লাশিতে ককটেল উদ্ধারের কথাও জানানো হয়। রাতে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর