রাজধানীতে শনিবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ কোথায় হবে, এ বিষয়ে এখনও দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এমনটি জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কমলাপুর স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা দুইটা মাঠ দেখেছি। স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত জানাব। কোথাও নিরাপদ নয় বিএনপি কর্মীরা। সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমাদের প্রস্তুতি আছে, তবে মারামারি করার প্রস্তুতি নেই।’
সিদ্ধান্তের বিষয় জানতে মির্জা আব্বাসকে ফোন করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এখনও মিটিংয়ে আছি। পরে জানাব।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে অনড় অবস্থান থেকে সরে এসেছে বিএনপি। মিরপুরের সরকারি বাংলা কলেজ মাঠ অথবা কমলাপুর স্টেডিয়ামের মধ্যে যেকোনো একটি জায়গায় হবে এ সমাবেশ।
বিএনপির সমাবেশস্থল হিসেবে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হাফিজ আক্তারের নেতৃত্বে বাঙলা কলেজ মাঠ পরিদর্শনে যান ডিএমপির প্রতিনিধিদল।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুইটা ভেন্যুর কথা বলা হয়েছে। বাঙলা কলেজের মাঠ দেখতে এসেছিলাম। আর কমলাপুরের মাঠটা তো পরিচিত। দেখে গেলাম। অনুমতি তো দিতে হবে। সমাবেশ দুইটার একটায় হবে।’
এর আগে সমাবেশের স্থান চূড়ান্ত করতে মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়।
এ বিষয়ে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির প্রতিনিধিদল মির্জা আব্বাসের বাসায় বৈঠকে বসেছেন।
বাসায় মিটিং করছেন বলে রাত ১১টা ৪১ মিনিটে জানিয়েছেন মির্জা আব্বাস। তবে রাত ১২টায় তার বাসায় এসে সেখানে দেখা যায় একদম সুনসান। গেটে কড়া নাড়তেই একজন কেয়ারটেকার দয়াল দাস গেট খুলে দেন। মিটিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিটিং তো বাসায় না। মিটিং বাইরে। স্যাররা সবাই ঘণ্টাখানেক আগে বের হয়ে গেছেন।
কোথায় গেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা বলতে পারব না। সবাই একসঙ্গে বের হয়েছেন।’
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ অভিযোগ করেন।