বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আতঙ্কে রাতে কার্যালয়ে যাননি নেতা-কর্মীরা

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:৫৩

বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, ডিএমপি কমিশনার বলছেন যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশে কোনো অসুবিধা নেই। অথচ নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনে রাত ১২টায়ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়ে আছে। এ অবস্থায় নেতা-কর্মীরা কমিশনারের আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের অনুমতির পরও নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় সুনসান। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাসের পরও গ্রেপ্তারের ভয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নয়াপল্টনে আসতে দেখা যায়নি।

তবে রাত ১২টার দিকেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খালি করেনি। তারা কার্যালয়ের প্রবেশমুখেই অবস্থান নিয়ে থাকে। একই সঙ্গে কাকরাইল মোড় এবং ফকিরাপুল মোড়েও পুলিশের অবস্থান নিয়ে আছে।

‌এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার পর নয়াপল্টনের সড়কটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য পুলিশ খুলে দিলেও রাত ১২টায় আবার সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নাইটিংগেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।

ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের স্থান নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকে এক ধরনের সমঝোতা হয়। নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বা আটক না করারও আশ্বাস মেলে। তার পরও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নেতা-কর্মীরা আসেননি।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুই দিন ধরে নয়াপল্টনে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি। দলটির কার্যালয়সংশ্লিষ্ট ফকিরাপুল-মতিঝিল এলাকা পুরোটাই দিনভর ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দখলে। শুধু বিএনপি নেতা-কর্মী নয়, বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেও ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত সড়কে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।

বিকেলে সড়কটি খুলে দেয়া হলেও রাত ১২টায় আবার দুই পাশে ব্যারিকেড দিয়ে সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে সমাবেশস্থল নিয়ে বাগবিতণ্ডার অবসান ঘটাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিটিংয়ে বসে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। রাত ৯টা ২০ মিনিটে বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। গতকালের ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের প্রথম দাবি ছিল, পার্টি অফিস খুলে দিতে হবে। তারা বলেছে, আপনারা পার্টি অফিসে যেতে পারেন; কোনো অসুবিধা নেই।

তবে অসুবিধা নেই জানার পরও পার্টি অফিসে নেতা-কর্মীরা কেউ আসছে না কেন জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপাসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ১০টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মী কার্যালয়ে যাবেন।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানান, ডিএমপি কমিশনার আশ্বাস দিলেও তাতে খুব একটা ভরসা পাচ্ছেন না নেতা-কর্মীরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ‘কমিশনার বলছেন যে অসুবিধা নেই। অথচ দলীয় কার্যালয়ের সামনে রায়ট কারসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়ে আছেন। রাত ১২টায়ও কার্যালয়ের প্রবেশপথ দখল করে বসে আছে পুলিশ। এ অবস্থায় নেতা-কর্মীরা কমিশনারের আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না।’

এদিকে রাত সাড়ে ১০টায় শাহীন নামের একজনকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি কর্মী সন্দেহে আটক করে পুলিশ।

ওই যুবক তখন বারবার বলতে থাকেন, ‘আমি রংমিস্ত্রি, আমি কোনো কর্মী না। আমি এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় ছবি তুলতেছিলাম।’

তবে ডিবির এক কর্মকর্তা তার ফোন জব্ধ করে বলেন, ‘ওনার ফোনে দেখা যাচ্ছে, তিনি বিএনপির নিউজ প্রচার করছেন।’

ওই কর্মকর্তা এ সময় শাহীন নামে ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন, ‘কী আছে সঙ্গে? বিস্ফোরকদ্রব্য?’

জবাবে শাহীন আবারও জানান যে তিনি রংমিস্ত্রি, তার সঙ্গে ওই রকম কিছু নেই।

পরে তাকে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে সন্ধ্যা থেকেই বেশ কয়েকজনকে বিএনপি কর্মী সন্দেহে আটক করে পুলিশ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাত ১২টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অবস্থান রয়েছে। পাশেই প্রিজন ভ্যান, জলকামানসহ পুলিশের অন্যান্য সাঁজোয়া যান।

সিনিয়র পুলিশ সদস্যরা সবাইকে নি-গার্ড পরে সতর্ক থাকতে বারবার নির্দেশ দিচ্ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর