বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পুরো বিশ্ব দেখছে: প্রণয় ভার্মা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:৫৯

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ‘কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলো মোকাবিলায় আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। তরুণদের কাছে একাত্তরের চেতনা পৌঁছে গেছে। ইয়ুথ ডেলিগেশন চলছে দুই দেশের মধ্যে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। নরেন্দ্র মোদির কথামতো দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ‘ভারত একাত্তরে যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল এখনও তেমনি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আগামীতে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে। সাউথ এশিয়াই শুধু নয়, পুরো বিশ্ব দুই দেশের সম্পর্ক দেখছে।’

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘মিট দ্য সোসাইটি’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব বিশিষ্ট চিকিৎসক ও কলামিস্ট মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলো মোকাবিলায় আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। তরুণদের কাছে একাত্তরের চেতনা পৌঁছে গেছে। ইয়ুথ ডেলিগেশন চলছে দুই দেশের মধ্যে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। নরেন্দ্র মোদির কথামতো দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণে পৃথিবীর বিভিন্ন শাসক ও রাষ্ট্রনায়কের সামনে কী কৌশল কী চতুরতার সঙ্গে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন তা সারা বিশ্ব দেখেছে।

‘সেই থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। কৃষক-মজুর, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সেই যুদ্ধ করেছি। ত্রিপুরা আমাদের এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল।’

ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তাদের দেশে ও বাংলাদেশে নানা চ্যালেঞ্জ আছে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

‘বিরোধিতাও আছে। মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত-রাজাকার ছিল, এখনও আছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, ভারতের বিরুদ্ধে ছিল। তাদের নিঃশেষ না করা পর্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে, যেন আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট না হয়। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে দুই দেশের সরকারের বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে তা নার্সিং করতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। মিসেস গান্ধী করেছেন। অস্ত্র দিয়েছেন। কিন্তু ত্রিপুরার মানুষকে কিভাবে ভুলে যাই? ত্রিপুরার মানুষ নিজেদের জনসংখ্যার বেশি মানুষকে খাইয়েছে। থাকতে দিয়েছে। আসাম, পশ্চিমবঙ্গও একইভাবে এগিয়ে এসেছে।

‘বিহারে অবাঙালিরাও আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি বোম্বের ফিল্ম তারকা বাংলাদেশের জন্য তহবিল সংগ্রহ করেছেন। নদীয়ায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল টিমের ম্যাচ ঘিরে ঐতিহাসিক জমায়েত হয়েছে। নদীয়ার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফুটবল ম্যাচের মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়বে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ূয়া, বীর

মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলি জহির বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাব উদ্দিন বীর উত্তম, জাতীয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সচিব মুসা সাদিক, ড. পবিত্র সরকার, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর কামরুল হাসান খান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর