বরগুনা থেকে ঢাকার পথে লঞ্চ ও বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর হতে যাওয়া সমাবেশ ঘিরে আতঙ্কের কারণে বৃহস্পতিবার এই দুই পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুই পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
তবে বরিশাল বিভাগের অন্য সব জেলায় স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার দিকে চলছে বাস ও লঞ্চ।
শিপিং লাইনসের বরগুনা ঘাটের পরিদর্শক এনায়েত হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বরগুনা থেকে ঢাকায় বৃহস্পতিবার লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। মাত্র ৪ জন যাত্রী এসেছিলেন ঢাকায় যাওয়ার জন্য।
‘আসলে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনার কারণে যাত্রীরা ঢাকায় যাচ্ছে না। এ কারণেই আমরা লঞ্চ বন্ধ রেখেছি। বন্ধ রাখার কোনো সিদ্ধান্ত আমাকে জানানো হয়নি।’
তিনি জানান, বরগুনা থেকে ঢাকায় বন্ধ থাকলেও ঢাকা থেকে লঞ্চ আসছে।
পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, ‘বাস বন্ধের জন্য কেন্দ্র থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা আসেনি। ঢাকায় চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাস মালিকেরা গাড়ি ভাঙচুর ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। এ কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’
তিনি জানান, ১০ তারিখ সমাবেশ শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যায় বরগুনা থেকে ঢাকার দিকে বাস চলাচল শুরু হবে।
বরিশাল জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা আগেই ঢাকা চলে এসেছেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছি। আমাদের জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা ও অন্যান্য ইউনিট থেকে প্রায় ৩ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় জমায়েত হয়েছে।’
ঝালকাঠি থেকেও নেতা-কর্মীরা আগেভাগে ঢাকা চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুর।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা জানি এই স্বৈরাচারী সরকার বিএনপির মহাসমাবেশে যেতে বাধা প্রদান করবে, তাই আমরা জেলা থেকে দুই দিন আগেই রওনা হয়েছি। আর বাকি যারা আসতে পারেনি তারাও যত কষ্টই হোক চলে আসবে। কোনো বাধাই আমাদের সমাবেশ আটকাতে পারবে না।’
ভোলা যুব দলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নিক্সন বলেন, ‘বরিশালসহ সারা দেশের বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে ভূমিকা রেখেছে যুবদলের নেতা-কর্মীরা। আশা করি ঢাকার সমাবেশ সফল হবে।
‘যদিও পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে হয়রানি করছে। তাদের কাছে থাকা মোবাইল নিয়ে যাচ্ছে, আটক করছে। নেতা-কর্মীদের মামলার ভয় দেখাচ্ছে। কোনো ভয়ই দমাতে পারবে না বিএনপির নেতা-কর্মীদের।’
ভোলা জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম নবী আলমগীর জানান, সমাবেশ সফল কতে তাদের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীরা আগেই ঢাকা চলে গেছেন।
প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন বরগুনার রুদ্র রুহান, পিরোজপুরের ইমন চৌধুরী, ঝালকাঠির হাসনাইন তালুকদার দিবস ও ভোলার আদিল তপু।