রাজধানীর নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও একজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে রংপুরে পুলিশের বাধায় বিক্ষোভ করতে পারেনি বিএনপি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয় থেকে মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এসময় সেখানেই সমাবেশ করেন তারা।
পুলিশি বাধায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ব্যর্থ হয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী ডন বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে মানুষ হত্যা করে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ নানা দাবিতে বিএনপির আন্দোলনে দেশের সাধারণ মানুষ একত্র হয়েছে।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুলতান আলী বুলবুল, রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, সৈয়দ সামসুজ্জামান, নিখিলেন্দু গুহ রায়, রফিকুল আজাদ, রেজাউল করিম রাজু, শাহীনুর ইসলাম, ফরহাদ হোসেন পিন্টু ও জহির আলম নয়ন।
নয়াপল্টনে সংঘাত
শনিবার বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
বিএনপি এই সমাবেশটি করতে চায় নয়াপল্টনে, কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু সেখানে যেতে চায় না দলটি।
অনুমতি না মিললেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ- এমন ঘোষণা দিয়ে নেতা-কর্মীরা যখন সড়কে অবস্থান নিচ্ছিলেন, সে সময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে একজনের প্রাণহানির পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হন।
সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে চাল, খিচুড়ি, ১৫টি ককটেলের পাশাপাশি বোতলজাত পানি ও টাকা উদ্ধারের কথা জানায় বাহিনীটি।