বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির ২৩ নেতা রিমান্ডে, ৪৪৫ জন কারাগারে

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ২১:০৬

যাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন বিএনপির সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপি নেতা শাহজাহান, এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ওয়াকিল আহমেদ, সজীব ভূঁইয়া, সারোয়ার হোসেন শেখ, সাইদুল ইকবাল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, আল-আমিন, সাইফুল, শুভ ফরাজি ও মাহমুদ হাসান রনি।

নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ককটেল উদ্ধারের অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপির ১৪ জন নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৪৫ জনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয় থেকে আটক ও গ্রেপ্তারের পরদিন তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ।

সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দুই মামলায় ২৪ আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন চান এবং আসামির জামিনের জন্য শুনানি করেন।

যাদের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন বিএনপির সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপি নেতা শাহজাহান, এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ওয়াকিল আহমেদ, সজীব ভূঁইয়া, সারোয়ার হোসেন শেখ, সাইদুল ইকবাল মাহমুদ, মিজানুর রহমান, আল-আমিন, সাইফুল, শুভ ফরাজি ও মাহমুদ হাসান রনি।

বুধবার বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে

কারাগারে যাওয়া উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, দলটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

আগামী শনিবার বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

বিএনপি এই সমাবেশটি করতে চায় নয়াপল্টনে, কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু সেখানে যেতে চায় না দলটি।

অনুমতি না মিললেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ- এমন ঘোষণা দিয়ে নেতা-কর্মীরা যখন সড়কে অবস্থান নিচ্ছিলেন, সে সময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে একজনের প্রাণহানির পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হন।

সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে চাল, খিচুড়ি, ১৫টি ককটেলের পাশাপাশি বোতলজাত পানি ও টাকা উদ্ধারের কথা জানায় বাহিনীটি।

সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাসহ কয়েক শ নেতা-কর্মীকে নিয়ে যায় পুলিশ

সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

আরও একটি মামলা হয় মতিঝিল এবং একটি হয় শাহজাহানপুর থানায়।

এরপর এ মামলায় আমান, রিজভী, খোকনসহ ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেয়া হয়। ২০১২ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনের গাড়ি পোড়ানোর মামলায় রিজভীর বিরুদ্ধে ১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর