বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক সাড়ে ১২ কোটি, সিম ১৮ কোটি

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৩৭

‘অপারেটরদের বেশকিছু টাওয়ারের নেটওয়ার্ক দুর্বলতা চিহ্ণিত করা হয়েছে এবং অপারেটরদেরকে সেসব টাওয়ারে নেটওয়ার্কে গতি বাড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

গত অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ১২ কোটি ৬২ লাখ আর মোবাইল সিম সংখ্যা ১৮ কোটি ১৬ লাখ। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ তথা ডাটার ব্যবহার হয়েছে ৪ হাজার ৪১৯ জিবিবিএস।

এই তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার চট্রগ্রামে রেডিসন ব্লু হোটেলে এক গণশুনানিতে এ কথা জানান তিনি।

শুনানিতে গ্রাহকরা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তুলে ধরেন এবং কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা সেসব প্রশ্নের জবাব দেন।

শুনানিতে অংশে নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেন ৮৪৮ জন, এর মধ্যে সশরীরে ১৮২ জন, অনলাইনে ৯৪ জন অংশ নেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিটি গণশুনানি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ায় এবং গ্রাহকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে আরও কতটুকু উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে কাজ করবে বিটিআরসি।

বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহপরিচালক নাসিম পারভেজ ২০২১ সালে গণশুনানির পর অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে করেন।

তিনি জানান, গ্রাহকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনেট গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে গত ১ বছরে বিটিআরসি বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং ইন্টারনেটের গতি যাচাই করতে ড্রাইভ টেস্ট ডিভাইস ক্রয় করা হয়েছে। কল ড্রপের জন্য প্রতিটিতে যত ক্ষতি হয়, তার তিন গুণ ফেরত দেয়ার বিধান চালু করা হয়েছে।

শুনানিতে জাওয়াদুল করিম নামে বেসরকারি চাকরিজীবী কমপক্ষে ২০ টাকা রিচার্জের সীমা না রাখার দাবি জানান। জবাবে নাসিম পারভেজ বলেন, মোবাইল অপারেটররা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন গ্রাহকরা ১০ টাকা রিচার্জ করেন খুবেই কম। আবার বিচার বিশ্লেষণ করে যদি ১০ টাকা রিচার্জে গ্রাহক সাড়া মিলে, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের গতি নিয়ে আরেক গ্রাহকের অভিযোগের জবাবে বিটিআরটির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক এহসানুল কবীর বলেন, ‘অপারেটরদের বেশকিছু টাওয়ারের নেটওয়ার্ক দুর্বলতা চিহ্ণিত করা হয়েছে এবং অপারেটরদেরকে সেসব টাওয়ারে নেটওয়ার্কে গতি বাড়াতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

সায়েম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রিচার্জ করলে অটোমেটিক ডাটা ও বান্ডেল কেনা হয়ে যায়। এটা পাল্টানো উচিত।

জবাবে নাসিম পারভেজ বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জনাব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, শুনানিতে যেসব অভিযোগ পাওয়া যায়, সেগুলো বিটিআরসির পরবর্তী কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হয়।

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষমাত্রা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে পর্যায়ক্রমে অন্য বিভাগেও গণশুনানি আয়োজন করা হবে।’

বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক এস এম রেজাউর রহমানের সঞ্চলনায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিটিআরসির লাইসেন্সধারী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর