বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সড়কে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:২১

ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশের জন্য বিএনপিকে বিকল্প জায়গা নিয়ে আলোচনা করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশের জন্য বিএনপিকে বিকল্প জায়গা নিয়ে আলোচনা করতে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, সড়কে কোনো সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশের জন্য বিকল্প জায়গা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চান বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ প্রায় সবাইকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকার পলিটিক্যালি সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে ব্যর্থ হয়েছে কিনা?

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‌‘এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল নাকি? পুলিশ যেভাবে মার খাচ্ছিল, আপনি পুলিশ কর্মকর্তা হলে কী করতেন?’

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ কোনো হামলা করেনি বলে দাবি করেন তিনি।

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে ১৮ হাজার পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য ঢাকায় নিয়োজিত থাকবে বলে খবর রয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না। এমন কোনো সংখ্যা নির্দিষ্ট করা নেই।’

সংঘর্ষের সময় বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে ভাঙচুরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ যখন কার্যালয়ে ঢোকে তখন তাদেরও (বিএনপি) সমর্থক থাকে। সমর্থকরা নিশ্চয়ই ধাক্কা দিয়েছে, এমন পরিস্থিতি হতে পারে।’

পুলিশ ককটেল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে- এমন অভিযোগের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমাদের কতজন পুলিশ সদস্য ককটেলে আহত হয়েছেন তা আপনারা দেখে যান। তারা নিজেরাই ককটেল মেরে নিজেরাই আহত হয়েছেন কিনা এই প্রশ্নটা আপনাদের কাছে রাখলাম।’

সংঘর্ষে পুলিশের আহত হওয়ার ঘটনায় প্রস্তুতির কমতি ছিল কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ মনে করেনি, এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে যে ককটেল মারতে হবে। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে হবে। পুলিশ সব সময়ই জনগণের পাশে থাকে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে। পুলিশ কখনো এক্সপেক্ট করেনি তাদের ওপর ককটেল চার্জ হতে পারে। সে জন্য যে পরিমাণ জিনিসপত্র পরে যেতে হয় সে সময় তাদের তা পরা ছিল না।’

এদিকে সংঘর্ষের পরও বিএনপি নয়াপল্টনেই বিভাগীয় সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্য বিকল্প না এলে সেদিন সকালে জনগণ নয়াপল্টনেই যাবে। যদি বাধা আসে, তাহলে জনগণই ঠিক করবে তারা কী করবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ১২ অক্টোবর থেকে বিএনপি ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে, কোনো সমাবেশে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। এখানেও হওয়ার কারণ ছিল না। যা হয়েছে, তার জন্য সরকারই দায়ী।

এরআগে, বুধবার বিকেলে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহতসহ অনেক আহত হন। সংঘর্ষের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে অন্তত ২১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। এতে ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি আছে জানিয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, আরও কয়েকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।

আসামিদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন।

এদিকে মতিঝিল থানায় সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় ২৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া শাহজাহানপুর থানায় পুলিশ আরেকটি মামলা করেছে, যাতে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামি ২০০ থেকে ২৫০ জন।

এ বিভাগের আরো খবর