বিএনপিকে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজ থেকে প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা শহরে সতর্ক থাকতে হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা আন্দোলনের নামে নাশকতা, পুলিশের ওপর হামলা ও বাস পোড়াচ্ছে, তাই বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের খেলা হবে। তারা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা সরকারি বিআরটিসি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। প্রস্তুত হয়ে যান, তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আজ থেকে প্রতিটি গ্রামে, ইউনিয়নে, উপজেলা, জেলা শহরে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। আগামীতে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’
শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
দুপুর ১২টার দিকে শেরপুর শহীদ দারোগা আলী পৌরপার্ক মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিশ্বের সব উন্নত দেশেই যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তাদের অধীনে নির্বাচন হয়। কাজেই বাংলাদেশেও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার তাতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে সরকার পতন করা যাবে না। ১০ ডিসেম্বর তারা নাকি লাল কার্ড দেখাবে। তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। সরকার পতনের নাম করে ১০ ডিসেম্বর দেশে যারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিউর রহমান আতিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং ও সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক চাঁন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
তৃতীয়বারের মতো শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু।
২০১৫ সালের ১৯ মে জেলা আওয়ামী লীগের সবশেষ সম্মেলনে আতিউর রহমান আতিককে সভাপতি এবং চন্দন কুমার পালকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।