ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে সব ধরনের গণপরিবহনে তল্লাশি করা হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, মৌচাক এলাকায় এবং সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকায় পুলিশের দুটি চেকপোস্টে যানবাহন থামানো হয়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। তা ছাড়া রূপগঞ্জের কাঞ্চন সড়কেও চেকপোস্ট বসানো হয়েছে৷ এসব চেকপোস্ট চলাচলরত কোনো ব্যক্তির আচরণ কিংবা গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলেই তাকে তল্লাশি করছে পুলিশ। এ ছাড়া প্রাইভেট কার, সিএনজি, রিকশাসহ দূরপাল্লার বাসগুলোকে থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান নিউজবাংলাকে এ বিষয়ে জানান, ঢাকার প্রবেশমুখী মহাসড়কের পাশে ৫টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। তা ছাড়া আরও কয়েকটি বসানোর চেষ্টা আছে বিভিন্ন থানা এলাকায়। এসব চেকপোস্টে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের খোঁজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা রোধে তল্লাশি করা হচ্ছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকার ঢাকামুখী লেনে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আরেকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে ভুলতায়।
তিনি বলেন, ‘কোনো যানবাহনে অবৈধ মালামাল থাকতে পারে কিংবা অস্ত্র থাকতে পারে তাই সকাল থেকে আমাদের তল্লাশি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা কিছু পাইনি।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘চেকপোস্ট বসানো তো নতুন না, আমরা মাঝেমধ্যেই মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে থাকি। সম্প্রতি ঢাকা আদালত চত্বর থেকে কিছু জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি এই মাসে বিজয় দিবস, থার্টি ফার্স্ট নাইটসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে। সাধারণত যেকোনো ইভেন্ট থাকলেই আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য চেকপোস্ট বসিয়ে থাকি।’
সমাবেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়ার জন্য এই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বিএনপির কোনো প্রোগ্রামে বাধা দিইনি। কেউ যদি নাশকতা করার পরিকল্পনা করে তাহলে তো সে পুলিশের তল্লাশি ভয় পাবেই। আমরা তো নির্দিষ্ট করে কোনো গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছি কিংবা গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি এমন তো না। এটা আমাদের রুটিনওয়ার্ক।’