রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে, যাতে ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলায় অজ্ঞাত আসামি আছে জানিয়ে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, আরও কয়েকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আসামিদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক কেন্দ্রীয় নেতা রয়েছেন।
এদিকে মতিঝিল থানায় সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
এ মামলায় ২৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া শাহজাহানপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছে, যাতে ৫২ জনকে গ্রেপ্তার দেখানেো হয়েছে। ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামি ২০০ থেকে ২৫০ জন।
আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন দলটির নেতা-কর্মীরা, যাদের কাছাকাছি ছিলেন পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য।
পুলিশ সড়কে সমবেত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিতে গেলে বিকেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে, যাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মকবুল হোসেন নামের একজন নিহত হন। তাকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিএনপি।
সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে চাল, খিচুড়ি, ১৫টি ককটেলের পাশাপাশি বোতলজাত পানি ও টাকা উদ্ধারের কথা জানায় বাহিনীটি।
পরবর্তী সময়ে উদ্ধার করা ককটেল বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায় পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিট।