মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চারদলীয় জোট সরকারের আমলে শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুককে গ্রেপ্তারের জন্য দ্রুতই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানাবে তদন্ত সংস্থা।
এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হক এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৮৭ তম তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ধানমন্ডির তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির প্রধান সানাউল হক বলেন, ‘তার (ওসমান ফারুক) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে, আশা করি দ্রুতই তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট জমা দিতে পারব। তারিখটা বলছি না। তবে শিগগিরই দাখিল করব।’
প্রতিবেদন জমার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানাবেন বলেও জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান।
ওসমান ফারুকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে ২০১৬ সালের ৪ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন সানাউল হক। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত করা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দাবি, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ওসমান ফারুকসহ ১১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। সেখানে একটি টর্চার সেলও ছিল। ওই তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে।
তদন্ত সংস্থা জানায়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ওসমান গণির ছেলে ওসমান ফারুক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ইকোনমি অনুষদের রিডার ছিলেন। অন্য ১০ জনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মকর্তা ছিলেন।