বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাবিতে আলোচনা

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ২৩:২১

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন ১৯৭৪ সালের তুলনায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। সে হিসাবে দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হওয়ার কথা না। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন। মুদ্রাস্ফীতি এবং জিনিসের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। সে কারণে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উন্নয়ন ও দুর্ভিক্ষের রাজনীতি: কোথায় যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার লেকচার হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

সভায় আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, লেখক-গবেষক ড. মাহা মির্জা ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি জাবির আহমেদ জুবেলের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন ঢাবি শাখার সদস্য সাইফ আল রিদওয়ান।

আলোচনায় আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘১৯৪৩ ও ১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষে খাদ্য উৎপাদনে কোনো ঘাটতি ছিল না। সে সময় সাপ্লাই চেইন ভেঙে গিয়েছিল এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গিয়েছিল। কৃত্রিম সংকট তথা গুদামজাতকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতাও দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী ছিল।

‘বর্তমানে আমাদের খাদ্য উৎপাদন ১৯৭৪ সালের তুলনায় চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। সে হিসাবে দেশে খাদ্য সংকট তথা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হওয়ার কথা না। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুর্ভিক্ষের কথা বলেছেন। মুদ্রাস্ফীতি এবং জিনিসের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। সে কারণে সংকট ঘনীভূত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, বর্তমানে ৬৫ ভাগ মানুষ কখনো না কখনো অনাহারে থাকছে। দেশে একটা নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। বাংলাদেশের ক্যাপিটালিস্ট শ্রেণী গত কয়েক দশকে সংঘবদ্ধ হয়েছে। তারা এদেশকে মুনাফা ও সম্পদ সংগ্রহের স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। তাদের কাছে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বলে কিছু নেই।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার এতো বছর পরও এদেশে পাবলিক ইন্টারেস্টের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো কিছুরই উন্নতি হয়নি। সরকার মেট্রোরেল, ছয় লেন, আট লেনে বেশি আগ্রহী। কেননা এগুলোতে লুটপাট চালানো যায়। কিন্তু রেলওয়ের উন্নতিতে তাদের কোনো মনোযোগ নেই। গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল মার্কেট তথা আইএমএফ, ডব্লিউএইচও-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটা আশীর্বাদ। এদের এমন একটা ব্যবস্থা দরকার যেখানে কোনো ট্রান্সপারেন্সি থাকবে না।’

ড. মাহা মির্জা বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ একদিনে হয় না। দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতায় আজকের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতিবিদরা এগুলো নিয়ে কখনও কথা বলেননি। যা কিছু ঘটছে এগুলোর পেছনে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট সংগঠনের ম্যানিপুলেটেড ইনফরমেশন ও মিডিয়া ট্রায়াল সবচেয়ে বেশি দায়ী।’

সাদিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের দাম লাগামহীন। তবু তারা ক্ষমতা থেকে নামবে না। ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকায় যা হওয়ার তাই হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর