বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ায় দলটির দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে। রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার বিকেলে দলীয় কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হন রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেপ্তার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে তিনি (রিজভী) মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে (প্রিন্স) অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।
আশা করি আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে আসার পর ১০ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীতে জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে এই সমাবেশের স্থল নিয়ে তৈরি হয়েছে বিরোধ। বিএনপি সমাবেশ করতে চায় নয়াপল্টনে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু তারা সেখানে যাবে না।
পুলিশ জানিয়েছে, সড়কে সমাবেশ করা যাবে না। এরপর বিএনপি আরামবাগে সমাবেশ করার কথা জানায় মৌখিকভাবে। তবে সে আবেদন মৌখিকভাবেই নাকচ করা হয়।
সমাবেশস্থলের কথা না জানিয়েই বিএনপি জনসভায় অংশ নেয়ার প্রচার চালাচ্ছিল। এর মধ্যে নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে অবস্থানও নিতে থাকেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দুপুরের আগে বলেন, তারা যেখানে অনুমতি চেয়েছেন, সমাবেশ সেখানেই হবে। কোনো গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব থাকলে সেটি দিতে হবে পুলিশ বা সরকারকে।
পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, বিএনপির কাজ বিএনপি করবে- দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদের নেতার পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে একজনের মৃত্যু হয়। পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার করে। আটক করা হয় আরও কয়েকজনকে।