রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশ এলাকা থেকে দলটির ৩০০ নেতা-কর্মী ও সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। একই সময়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ১৫টি ককটেল উদ্ধারের দাবি করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ বুধবার রাতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাজা ১৫টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে নয়াপল্টন সড়কের ওপর দুই দফায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট।
‘এর আগে দুপুরে সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালায় বিএনপির সমর্থকরা। এতে অন্তত ৫০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
তিনি বলেন, ‘আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল ডিএমপি। ১০ তারিখ আসতে এখনও ৩-৪ দিন বাকি। তারা আজ সকালেই নয়াপল্টনে লোক জড়ো করে রান্নার আয়োজন করে মিটিং শুরু করেছে। এতে রাস্তা বন্ধ হয়ে সাধারণের চলাচলে সমস্যা হয়েছে।
‘পুলিশ রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর আমরা তাদের দমন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমরা তাদের কার্যালয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে ১৫টি ককটেল উদ্ধার করেছি। সে সঙ্গে নগদ দুই লাখ টাকা, ১৬০ বস্তা চাল, খিচুড়িসহ রান্নার অনেক সরঞ্জাম জব্দ করেছি। এর পাশাপাশি তাদের কার্যালয় ও আশপাশ থেকে ৩০০ জন বিএনপি সমর্থককে আমরা আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নয়াপল্টনে অভিযানকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি: নিউজবাংলাডিবিপ্রধান বলেন, ‘তাদের এই আয়োজন দেখে আমার বুঝলাম যে তারা এখানে বিপুলসংখ্যক লোক সমাগম করে অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল। এজন্য শান্তিপূর্ণ সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেয়া হলেও নয়াপল্টনের রাস্তায় এমন জমায়েত করতে চাচ্ছিল। পাশাপাশি তাদের কাছে মজুদ ককটেল পাওয়ায় প্রমাণ হল তারা সমাবেশের নামে নাশকতার পাঁয়তারা করছিল।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন যে এসব ককটেল পুলিশই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ককটেল কোথা থেকে এসেছে তা আপনারা সাংবাদিকরা নিজ চোখেই দেখেছেন; এখন ওনারা তো কত কিছুই বলবেন।’