বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির কৃষ্ণকাঠি ব্রাকমোড় ব্রিজে মঙ্গলবার রাত ৯টায় জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বহনকারী দুটি বাসে বোমা হামলার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার পরদিন বুধবার অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.মনিরুল ইসলাম নুপুর, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামিম তালুকদার, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপু, সাদ্দাম হোসেন, সরদার এনামুল হক এলিন, আনিসুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, শফিকুল ইসলাম লিটন, সরদার সফায়েত হোসেন, মো.নাছির উদিন খানন, আরিফুর রহমান খান, কেশব সুমন, জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. শহাদাৎ হোসেন ও মো. জাহিদ হাসেন।
মামলার বাদী রেজাউল করিম জাকির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপিতে কে সাবেক এবং কে বর্তমান সেটা মুখ্য বিষয় না। কারা বোমা হামলা করেছে, কারা পরিকল্পনা করেছে, কারা উসকানি দিয়েছে সেটাই মুখ্য বিষয়। আমি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই মামলা করেছি।’
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে শেষে ঝালকাঠি ফেরার পথে রাত ৯টায় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বহনকারী দুটি বাস ঝালকাঠি ব্রাকমোড় ব্রিজের ওপর এলে কে বা কারা পরপর পাঁচটি বোমা ছোড়ে। এতে ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে দ্রুতই অভিযান চালানো হবে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।