অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আদেশ প্রতিপালন না করায় খুলনার সাবেক জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও ডুমুরিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমানকে তলব করেছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ইউনাইটেড দে কিল রিভার্স’ শিরোনামে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা ও হরি নদীর জায়গার অবৈধ স্থাপনা নিয়ে করা এই প্রতিবেদন যোগ করে ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিট করা হয়। এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেয়।
খুলনার জেলা প্রশাসক ও ডুমুরিয়ার এসি ল্যান্ডকে সিএস/আরএস অনুসারে জরিপ করে ভদ্রা ও হরি নদীর সীমানা নির্ধারণ করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয় আদালত। জেলা প্রশাসন জরিপ করে ১৪টি ইটভাটার তালিকা আদালতে দাখিল করে। এরপর ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়।
আদালত গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৬০ দিনের মধ্যে ১৪টি স্থাপনা অপসারণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদেশ প্রতিপালন না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর ২৫ অক্টোবর আদালত রুল জারি করে। এরপরও ইটভাটা উচ্ছেদ না করায় এইচআরপিবির পক্ষে বিবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত হাজিরার আবেদন দাখিল করা হয়।
আবেদনের শুনানি শেষে আদালত জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও ডুমুরিয়ার ইউএনও শরীফ আসিফ রহমানকে তলব করেছে। আগামী ১০ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার খুলনা থেকে বদলি হয়েছেন।