বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই: ফখরুল

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:০২

‘আগামী ১০ তারিখে আমাদের যে কর্মসূচি রয়েছে তা যেন শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারি, এজন্য সরকারকে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই যে গ্রেপ্তার নির্যাতন, এর তার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।‘

রাজধানীতে বিএনপির ঘোষিত সমাবেশের তিন দিন আগে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ করতে সরকারের সহযেগিতা চেয়েছেন। বলেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

আগামী শনিবার রাজধানীতে সমাবেশের স্থল নিয়ে বিরোধের মধ্যে বুধবারের সংঘর্ষের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে অবস্থানের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার ডিএমপি কমিশনারকে কথা দিয়েছি, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব। আশা করেছিলাম, আজকে আমরা ডিএমপির কাছ থাকে সমাবেশের অনুমতি পাব। সেই আশায় আমরা এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছিলাম।

‘কিন্তু সরকার আমাদের সঙ্গে বিট্রে করেছে। তারা সশস্ত্রভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি দলের কার্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য সবার সঙ্গে কথা বলেছি। কমিশনার, হোম মিনিস্টার.. কিন্তু কথা বলে লাভ নেই। ইনফ্যাক্ট এখানে কোনো সরকারই নেই।’

বিএনপি সমাবেশটি করতে চায় নয়াপল্টনে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু তারা সেখানে যাবে না।

পুলিশ জানিয়েছে, সড়কে সমাবেশ করা যাবে না। এরপর বিএনপি আরামবাগে সমাবেশ করার কথা জানায় মৌখিকভাবে। তবে সে আবেদন মৌখিকভাবেই নাকচ করা হয়।

সমাবেশস্থলের কথা না জানিয়েই বিএনপি জনসভায় অংশ নেয়ার প্রচার চালাচ্ছিল। এর মধ্যে নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে অবস্থানও নিতে থাকেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দুপুরের আগে বলেন, তারা যেখানে অনুমতি চেয়েছেন, সমাবেশ সেখানেই হবে। কোনো গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব থাকলে সেটি দিতে হবে পুলিশ বা সরকারকে।

পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, বিএনপির কাজ বিএনপি করবে- দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদের নেতার পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসার কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় সংঘর্ষ।

বিকেলে মির্জা ফখরুল অবস্থান নেন দলীয় কার্যালয়ের সামনে। তিনি সেখানে অবস্থানের সময়েই দরজা ভেঙে পুলিশ ঢুকে কার্যালয়ে। গ্রেপ্তার করে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। আটক করা হয় আরও অনেককে।

পুলিশ কর্মকর্তারা ফখরুলকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানান। তবে তিনি অনড় থাকেন। বলেন, ‘আজ আমি যাব না, এখানেই থাকব। হোম মিনিস্টার আমাকে এখানে আসতে বলেছেন। তারপরও আসার পর আমাকে ঢুকতে (দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে) দেয়া হয়নি।’

পরে অভিযানের নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দলীয় কার্যালয় থেকে কেন্দ্রের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে ঢুকেছে। এগুলোকে বিস্ফোরক হিসেবে দেখাবে। এসব দেখিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করবে। এর চেয়ে খারাপ কাজ আর কিছু হতে পারে না।’

‘এটা ন্যক্কারজনক হামলা। পুলিশ গেইট বন্ধ করে ভেতরে তল্লাশির নামে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। ভেতরে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার ব্যবস্থা করছে। এটা অসাংবিধানিক’- বলেন বিএনপি নেতা।

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই

এই সংঘর্ষের পর শনিবার বিএনপির সমাবেশ অনিশ্চিত হয়ে গেল কি না, এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে ফখরুল সমাবেশটি করতে চান।

তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ তারিখে আমাদের যে কর্মসূচি রয়েছে তা যেন শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারি, এজন্য সরকারকে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই যে গ্রেপ্তার নির্যাতন এর তার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।‘

এ বিভাগের আরো খবর