ঢাকার বিচারিক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় ১০ আসামিকে দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১ ডিসেম্বর ওই ১০ আসামিকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন।
এর আগে ২০ নভেম্বর একই আদালত তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আ. সবুর, রশিদুন্নবী ভূঁইয়া প্রমুখ।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ২০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়।
সেদিন সকালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলার ১২ আসামিকে কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে ঢাকার আদালতে আনা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা দুই আসামি মো. ঈদী আমিন ও মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি আদালত থেকে বের হয়ে যান।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোর্টের শুনানি শেষে প্রথমে চারজনকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। দুটি হাতকড়া দিয়ে দু’জনকে আটকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বাকি আসামিরা তখন উপরে ছিলেন।
চার জনের মধ্যে মইনুল হাসান ও আবু সিদ্দিককে জঙ্গিরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তবে মো. আরাফাত ও মো. সবুরকে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা পিপার স্প্রে ব্যবহার করে। এতে একজন সিকিউরিটি গার্ড, একজন পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হন।’