বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ ডিসেম্বরের আগেই সন্ত্রাস শুরু করেছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:৪৪

কক্সবাজারের জনসভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় তা জনগণ জানে। কারণ সেখান থেকে দ্রুত অস্ত্র আর আগুন সন্ত্রাস করতে পারে তারা।’

১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগেই বিএনপি রাজপথে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নাকি রাজপথ ও ঢাকা দখল করবে। কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি নয়াপল্টনে বিএনপি পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় তা জনগণ জানে। কারণ সেখান থেকে দ্রুত অস্ত্র আর আগুন সন্ত্রাস করতে পারে তারা।’

তিনি বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, ‌‘বিএনপি নাকি ১০ ডিসেম্বর রাজপথ ও ঢাকা দখল করবে। ফখরুল সাহেব, আমি বলতে চাই আমাদের নেতা-কর্মীরা মহানগর, জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লায় পাহারায় থাকবেন।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই আমাদের অস্তিত্বের জন্য। আমি কারও অন্ধ সমর্থক নই। কাজ করে যারা, আমি তাদের পক্ষে বলি। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। বাইরে যুদ্ধের কারণে আমরা বিপদে আছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ সমস্যাও কেটে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ডিসেম্বরে খেলা হবে, আগামী নির্বাচনে খেলা হবে, আন্দোলনে খেলা হবে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে টাকা চুরির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে সকাল থেকেই কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে। জনসভায় কক্সবাজার শহর ও বিভিন্ন উপজেলা এবং বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি উপলক্ষে সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ সদস্যসহ ৪ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। শহরের যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। সভাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে হাসপাতাল মোড়, প্রধান সড়কের পাশের দোকানের পশ্চিমে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ রাখা হয়েছে মেরিন ড্রাইভে সাধারণ যান চলাচল।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ চার স্তরের নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে। পুলিশের সদস্যরা নির্ধারিত ও সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। সাজানো হয়েছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। সঙ্গে রয়েছে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি।’

এ বিভাগের আরো খবর