বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোহরাওয়ার্দী ছাড়া উপায় নেই, বিএনপিকে আ.লীগের বার্তা

  •    
  • ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:১৪

সরকার ও আওয়ামী লীগ গ্রহণযোগ্য বিকল্প না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ- দলটির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের পর ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা ছাড়া বিএনপির কোনো উপায় নাই।’

আওয়ামী লীগ বা সরকার গ্রহণযোগ্য বিকল্প প্রস্তাব না দিলে সমাবেশ নয়াপল্টনেই- বিএনপির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য আসার কিছুক্ষণ পর ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে এলো পাল্টা বক্তব্য। দলের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বললেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই বিরোধী দলটির।

১০ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীতে বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে কথার লড়াই আরও জমেছে। সমাবেশের তিন দিন বাকি থাকতে বুধবার দুই দলের পক্ষ থেকে এই বিপরীতমুখী বক্তব্য এলো।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা ছাড়া বিএনপির কোনো উপায় নাই।’

বিএনপি বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে আওয়ামী লীগও মাঠে নামবে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘রাস্তাঘাটে মিটিং করে মানুষের জানমালের ক্ষতি করবেন, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন, আমরা চুপ করে বসে থাকব নাকি?’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোতে যে সমাবেশ করেছে, তার মধ্যে কোনোটির ভেন্যু নিয়ে কোনো সমস্যা না হলেও ঢাকার সমাবেশস্থল নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

বিএনপি নয়াপল্টনে এই সমাবেশ করতে চায়, কিন্তু সড়কে সমাবেশ করতে দিতে নারাজ সরকার। পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, তবে সেখানে যেতে চায় না বিরোধী দলটি। তারা নয়াপল্টনের বিকল্প হিসেবে আরামবাগ চাইলেও সেটিও কার্যত নাকচ করে দেয়া হয়েছে।

সমাবেশের তিন দিন বাকি থাকতে বিএনপি যে প্রচার চালাচ্ছে, সেই লিফলেটে সমাবেশস্থলের নামও উল্লেখ নেই।

মায়া বক্তব্য রাখার কিছুক্ষণ আগে বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, বিকল্প প্রস্তাব আওয়ামী লীগকেই দিতে হবে। গ্রহণযোগ্য এবং বিকল্প প্রস্তাব আওয়ামী লীগ অথবা সরকারকেই দিতে হবে। অথবা আমাদের প্রস্তাবকে মেনে নিতে হবে, আমরা সভা করব।

‘যদি গ্রহণযোগ্য পছন্দনীয় জায়গা বের না করে তাহলে পল্টনই আমাদের পছন্দের জায়গা। পল্টনেই হবে সমাবেশ।’

পুলিশ বাধা দিলে কী হবে, জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, আমাদের কাজ আমরা করব।’

সেদিন কোনো বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় আওয়ামী লীগ ও সরকারকেই নিতে হবে বলেও জানিয়ে দেন বিএনপি নেতা।

মায়া বলেন, বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলেন। আর মিডিয়া তিলকে তাল করে। কারণ, এগুলো না করলে মানুষ মিডিয়া দেখে না।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমান উল্লাহ আমান বলেছেন ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশ পরিচালনা করবেন খালেদা জিয়। ১০ তারিখ তারা ক্ষমতায় যাবে, দেশ পরিচালনা করবেন তারেক রহমান। আজকে ৭ তারিখ। বাতাসে কোনো আওয়াজও দেখি না। আর কিছু মিডিয়া আছে তিলকে তাল করে। জিজ্ঞাস করলে বলে এগুলা না করলে মানুষ টিভি দেখে না। কিন্তু চাইলেই তো সবকিছু করতে পারেন না। সীমাবদ্ধতা আছে।’

১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগও মাঠে থাকবে বলে জানান মায়া। বলেন, ‘আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেব। ওরা যেন মানুষের ওপর হাত না দিতে পারে।

‘কোন জায়গায় কী আকাম করে বসে, তার জন্য তো আমাদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা রাজপথে থাকব ১০ তারিখ সারা দিন, জনগণের পাশে থাকব। জনগণের জানমাল রক্ষার্থে পাশে থাকব। এতে কোনো অপরাধ নাই।’

মায়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সরকার, তাই দলের নেতা-কর্মীদের পবিত্র দায়িত্ব আছে সরকারকে রক্ষা করার। সরকারের ওপর যদি কোনো আঘাত আসে, কর্মীদের সবার আগে রাস্তায় নামতে হবে, সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্যে।’

চাঁদপুর জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ওসমান গনির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আওয়ামী লীগ নেতা যান প্রেস ক্লাবে। ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি মিঞা মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর