নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে পরামর্শ না করে সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় বদলি না করতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উত্তরের এ নগরীতে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে এই নির্দেশ দেয়া হয়।
রংপুর সিটি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সব সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান মেনে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব, সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব মহাপরিচালক, আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের আদেশ জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ এবং আপিল নিষ্পত্তির জন্য রংপুরের বিভাগীয় কমিশনারকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
‘নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্পাদনের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্য থেকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি এবং সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবেন। ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। তা ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার স্থাপনা/ অঙ্গন ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে।'
এতে আরও বলা হয়, ‘সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য এবং স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ৩ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের যেকোনো ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারবে এবং অনুরূপভাবে নির্দেশিত হলে ওই ব্যক্তি বা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত দায়িত্ব পালন বা উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে।
‘এ বিধিমালার বিধি ৮৯ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার পর ১৫ দিন সময় পার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ ব্যতীত বিধিতে উল্লিখিত কর্মকর্তাদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ অনুসারে কোনো ব্যক্তি নির্বাচন সংক্রান্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি তার উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তার চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন।’