প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভাকে সামনে রেখে কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম অভিমুখে দলের নেতা-কর্মীদের মিছিলে নারীদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে।
বুধবার বিকেলের জনসভায় অংশ নিতে কক্সবাজার শহর ও বিভিন্ন উপজেলা এবং বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে সকাল থেকেই ছুটে আসছেন নেতা-কর্মীরা। তাদের মিছিলে সামনের সারিতে দেখা গেছে মহিলা লীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকা নারীদের।
দুপুর ১২টার দিকে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম মাঠে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। তারপর একে একে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা।
দুপুর আড়াইটার দিকে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর কক্সবাজারবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি।
কক্সবাজার পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনা আক্তার পাখি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারবাসীকে সাড়ে তিন লাভ কোটি টাকার উন্নয়নযজ্ঞ দিয়েছেন। গেল কয়েক দিন আমরা নেতা-কর্মীরা তার প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি। আজ জনসভা, যেখানে অন্তত লক্ষাধিক নারী নেতা-কর্মী উপস্থিত হবেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উজ্জীবিত সকল স্তরের নেতা-কর্মীরা। চারদিকে উৎসব চলছে।’
জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিমা আক্তার বলেন, ‘৯ উপজেলা থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মী এসেছে। শহর থেকে গ্রাম সকল স্থানে পৌঁছে গেছে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবর। তাই মানুষ ছুটে আসছেন জনসভাস্থলে।
‘আমরাও নারী নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি জানান দিতে চাই প্রধানমন্ত্রীকে। আমরাও তার সঙ্গে আছি রাজপথে।’
জনসভায় উপস্থিতি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টা আগে থেকে নেতা-কর্মীরা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। সকাল ১০টার পর থেকে তারা সভাস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন। প্রায় দুই লাখ মানুষ কক্সবাজারে ঢুকে পড়েছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
কক্সবাজার শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশকে। সভাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে হাসপাতাল মোড়, প্রধান সড়কের পালের দোকানের পশ্চিমে কোনো প্রকার যানবাহন ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
মেরিন ড্রাইভে সাধারণ যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তা ছাড়া শহরের মোড়ে মোড়ে নেতা-কর্মীদের অবস্থান দেখা যায়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে। পুলিশের সদস্যরা নির্ধারিত পোশাকে ও সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবেন। সাজানো হয়েছে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। সঙ্গে রয়েছে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি।
‘এই দুটি অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্যসহ চার হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।’