খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে দুই শ্রমিক নিহতের দুই মাস পর পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদুল আলমের আদালতে মঙ্গলবার বিকেলে নির্মাণকাজের শ্রমিকদের মাঝি জালাল খান পিটিশন জমা দেন।
আদালত পিটিশনটি আমলে নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬ (৩) ধারায় এজাহার বিষয়ে গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বেদারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়াও এ পিটিশনে অন্যান্য বিবাদীরা হলেন- জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমা, উপ-ঠিকারদার প্রাণতোষ বাবু ও মো. সেলিম।
পিটিশনের বাদী জালাল খান জানান, গত ৮ অক্টোবর জেলা পরিষদের নির্মাণাধীন ভবনের সামনের অংশে ছাদ ঢালাইয়ের সময় এটি ধসে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত ও পাঁচ জন আহত হন। এ ঘটনায় শ্রমিকদের মজুরির ৪০ হাজার টাকাসহ সব মিলিয়ে ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা করতে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ঠিকাদারের লোকজন কোনো সহযোগিতা করেননি। ক্ষতিপূরণের টাকা চাওয়ায় উল্টো হুমকি দেয়া হয়। তাই বাধ্য হয়ে দুই মাস পর আদালতে আসতে হয়েছে।
অ্যাডভোকেট বেদারুল ইসলাম জানান, পিটিশনের উত্থাপিত বিষয়ে শুনে আদালত সন্তোষ প্রকাশ করে খাগড়াছড়ি সদর থানাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬ (৩) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ জানান, আদালত থেকে এখনও নির্দেশনা পায়নি। আদালত যেভাবে নির্দেশ দেবে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা পরিষদের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়ার কাছে তদন্ত কমিটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে মোবাইলে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করলেও অগ্রগতির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।