বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক মাসেও অপরাধী গ্রেপ্তার না হওয়ায় হতাশ ফারদিনের বাবা

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৫৭

ফারদিন নুর পরশের বাবা বলেন, ‘তদন্ত সংস্থাগুলো মামলার কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি, এটি হতাশার। তবে আস্থা রাখছি সংস্থাগুলো যথাযথভাবে কাজ করবে৷ আমি ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যার এক মাস পার হলেও কোনো অপরাধীকে ধরতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেছেন, ‘আজ বুয়েট ক্যাম্পাসে সবই আছে, শুধু আমার ছেলেটিই নেই। সন্তানহারা বাবা হয়ে আমার আর বলার কিছু নেই।’

ফারদিন নুর পরশ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বুয়েটর সাধারণ ছাত্রবৃন্দের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তা চাই’, ‘ফারদিন হত্যার বিচার চাই’, ‘আমরা সবাই ভাই ভাই, ফারদিন হত্যার বিচার চাই’, ‘তদন্তে বিলম্ব কেন’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্লাকার্ড তুলে ধরেন।

ফারদিনের বাবা বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে আমার ছেলেকে হারিয়েছি প্রায় এক মাস হলো। এ পর্যন্ত এই ঘটনার তদন্তে সুনির্দিষ্ট কোনো অগ্রগতি নেই। আমার সন্তানের সঙ্গে কী হয়েছে তা জানি না৷ এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্তে কেউ চিহ্নিত হয়নি।’

তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থাগুলো মামলার কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি, এটি হতাশার। তবে আস্থা রাখছি সংস্থাগুলো যথাযথভাবে কাজ করবে৷ আমি ছেলের হত্যাকারীর বিচার চাই। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের খুঁজে বের করা হোক, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।’

কাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘এই বুয়েট থেকে আর কোনো সন্তান যেন এভাবে আর তার মায়ের বুক খালি করে না যায়। এটি এখন নিরাপত্তাহীনতার চাদরে ঢেকে ফেলেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। সবাই একটি অনিশ্চয়তার ভেতরে আছেন। দ্রুত সময়ে ফারদিন হত্যার বিচার হলে অন্যরা আস্থা ফিরে পাবেন।’

ফারদিন হত্যার ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ নির্লিপ্ত উল্লেখ করে তিনি এর সমালোচনা করেন। বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বন্ধু ও সহপাঠীকে হারিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো উদ্যোগ নিয়ে পাশে দাঁড়ায়নি।

‘আমি ফারদিনের পরিবারের অবিভাবক। কিন্তু বুয়েট কর্তৃপক্ষও তো আমার ছেলের অভিভাবক ছিল। এক্ষেত্রে তারা যদি মামলার অগ্রগতি ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং তদন্তকারী সংস্থাকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেন তাহলে বিচার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাব বলে বিশ্বাস করি।’

বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে দ্রুত অগ্রগতি দাবি করে মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের প্রায় এক মাস অতিবাহিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়নি; হত্যাকারীরাও চিহ্নিত হয়নি।

‘আমরা প্রথম থেকেই এই হত্যাকাণ্ড দ্রুত তদন্তের জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ ফারদিনের মরদেহ প্রাপ্তির ২৯তম দিনে এসেও আমরা জানি না কী কারণে আমাদের বন্ধু ফারদিনকে হত্যা করা হলো। তদন্তের এই দীর্ঘসূত্রতায় আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা আশাহত।’

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘ফারদিন হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি ও ছায়া-তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে আসা পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে আমরা বিভ্রান্ত। আমরা বুয়েট শিক্ষার্থীরা ফারদিন নুর পরশের খনিদের শনাক্ত করে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার এবং তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য পুনরায় জোর দাবি জানাচ্ছি।

‘হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফারদিনের পরিবারের পাশে আছি এবং থাকব। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ফারদিনের মতো আর কোনো মেধাবী প্রাণ এভাবে নৃশংস হত্যার শিকার হবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর