মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় সোহাগ আহমেদ নামের এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই কিশোরের প্রেমিকার পরিবারের লোকজন তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। থানায় এ অভিযোগ দিয়েছে সোহাগের পরিবার।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে কিশোর সোহাগের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রেমিকার বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি দিঘুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।১৭ বছর বয়সী সোহাগ উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের নতুন ভোঁয়া এলাকার আখের আলীর ছেলে। সে এলাকায় তাঁত শ্রমিক ছিল।
সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস এসব তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, দিঘুলিয়ার এক কিশোরীর সঙ্গে সোহাগ আহমেদের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর বাবা ও ভাই গত ২১ নভেম্বর সকালে সোহাগকে তার বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন। এদিন বিকেলে ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যায় সোহাগ। দুই দিন পর দুইজনকে স্থানীয় লোকজন ধরে আনেন।
পুলিশ আরও জানায়, গত শনিবার সোহাগ হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সকালে ঢাকা মেডিক্যালে তার মৃত্যু হয়।
সাটুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, সোহাগের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। সোহাগের পরিবারের মৌখিক অভিযোগে কিশোরীর বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।