বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ ডিসেম্বর সংঘাতের শঙ্কায় যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ সতর্কতা

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৩০

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বিএনপির ধারাবাহিক যে সমাবেশ হচ্ছে, তা শেষ হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের মধ্য দিয়ে। তবে চার দিন আগেও সমাবেশস্থল নির্দিষ্ট না হওয়ায় রাজনীতিতে শীতের আগে উত্তাপ ছড়িয়েছে।

১০ ডিসেম্বরের বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাজ্য। এই শঙ্কা থেকে দেশটি তার নাগরিকদের ঢাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক করে দিয়েছে।

আগামী শনিবারের এই সমাবেশের চার দিন আগেও সমাবেশস্থল চূড়ান্ত না হওয়া এবং এ নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে কথার লড়াইয়ের মধ্যে রাজনীতিতে ছড়াচ্ছে উত্তাপ। এর মধ্যে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় এই সতর্কতা জারি করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘাত এবং যানবাহন সংকটের আশঙ্কা করা হয় এই সতর্কবার্তায়।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বিএনপির ধারাবাহিক যে সমাবেশ হচ্ছে, তা শেষ হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের মধ্য দিয়ে।

এই সমাবেশ নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের পর। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, ১০ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়।

এরপর দলটির কেন্দ্রীয় নেতা মীর নাছির উদ্দিন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিও একই কথা বলেন। এমনকি সেদিন তারেক রহমান দেশে আসবেন বলে ঘোষণা আসে নারায়ণগঞ্জের একটি সমাবেশ থেকে।

অবশ্য পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ১০ ডিসেম্বর কোনো চূড়ান্ত কর্মসূচি নয়। সেদিন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হবে মাত্র। আর দলটি সরকারবিরোধী যে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়, তার রূপরেখাও জানানো হবে।

এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের স্থল নিয়ে কোনো সমস্যা তৈরি না হলেও ঢাকার সমাবেশের স্থল এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত।

বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। ২০ নভেম্বর দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আবেদনপত্র জমা দেয়া হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে।

শুরু থেকেই জানা যাচ্ছিল সরকার সেখানে সমাবেশ করতে দিতে রাজি নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন জনসভার স্থল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, সেদিনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।

বিএনপি সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষের সমাগমের যে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, সেটি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান প্রশ্ন রাখেন, এত মানুষের জমায়েতের জায়গা নয়াপল্টনে আছে কি না।

এরপর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপিকে পূর্বাচলে বা ইজতেমা ময়দানে যেতে বলেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পাচ্ছে বিএনপি।

তবে নয়াপল্টনের দাবিতে অনড় বিএনপির নেতারা প্রয়োজনে অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে রাখলেও রোববার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছুটা নমনীয় হন। তিনি সোহরাওয়ার্দীর বদলে বিকল্প জায়গা চান, তবে সেটি তুরাগ তীর হওয়া চলবে না, এটিও জানিয়ে দেন।

এরপর তথ্যমন্ত্রী ফের জানতে চান, বিএনপি তুরাগতীরের ইজতেমা ময়দান বা পূর্বাচলে সমাবেশ করতে রাজি কি না। বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এরপর আর আসেনি।

এর মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে পুলিশের কাছে আরামবাগ বরাদ্দ চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সেখানেও সমাবেশটি সড়কেই হবে জানিয়ে বাহিনীটির এক কর্মকর্তা তা নাকচ করেছেন। পাশাপাশি তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আরামবাগের কাছে দেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের অবস্থান। সেখানে কেন বিএনপি সমাবেশ করবে।

দুই পক্ষের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের মধ্যেও জনগণকে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। দলের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই। আমরা সরকারে আছি, আমরা কেন দেশের অশান্তি চাইব? আমরা কেন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, এমন কাজ করব। দরকার তো নেই।’

আবার বিএনপি উসকানি দিলে সরকার বসে থাকবে না, সেটিও জানিয়ে দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

এ বিভাগের আরো খবর