বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যক্তিমালিকানার সম্পত্তিকে খেলার মাঠ দাবি

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:১২

ওয়ারিশ দাবিদার নুরুল হুদা বলেন, ‘গড়েয়াতে যে জমিটি খেলার মাঠ দাবি করা হচ্ছে সেটি আসলে আমাদের মালিকানা সম্পত্তি। সরকারের কোনো নথিতেই এটিকে খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।’

ঠাকুরগাঁওয়ের গড়েয়াতে কথিত খেলার মাঠটির ব্যক্তিমালিকানা দাবি করে মানববন্ধন করেছেন মালিকপক্ষের সব ওয়ারিশ। মানববন্ধনে ৬০ ওয়ারিশের সঙ্গে স্থানীয় দুই শতাধিক মানুষও একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের চৌরাস্তায় ভুক্তভোগী জমির মালিকরা ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন। পরে তারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে ওয়ারিশ জুলফিকার আলী ভুট্ট বলেন, ‘আমি অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। খাদ্যনালিতে ঘা ও দুটি বাল্ব নষ্ট হওয়ায় ভারতে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে বায়না সূত্রে জমি বিক্রি করেছি। কিন্তু স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ সেটিকে খেলার মাঠ দাবি করে আসছে। দখল নিতে দিচ্ছে না।

‘জমিটি যে ব্যক্তিমালিকানার, এতে কোনো ভুল নেই। আমি কোনো খেলার মাঠ বিক্রি করিনি। আমি আমার পরিবার নিয়ে এখানে দাঁড়িয়েছি, আমাদের সুষ্ঠু সমাধান দিন।’

জমির মালিকানা দাবি করা আরেক ওয়ারিশ নুরুল হুদা বলেন, ‘গড়েয়াতে যে জমিটি খেলার মাঠ দাবি করা হচ্ছে সেটি আসলে আমাদের মালিকানা সম্পত্তি। সরকারের কোনো নথিতেই এটিকে খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে আমাদের রোপণ করা গাছ বড় হচ্ছে৷ কিন্তু অযথাই স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় আমাদের সমস্যা করছে।

‘আমরা জমি বিক্রি করেছি। কিন্তু দখলে গেলে আমাদের ওপর সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করা হচ্ছে। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে মানববন্ধন করছি। আমাদের সম্পত্তি বিক্রির অধিকার আমাদের আছে।’

বায়না সূত্রে জমির ক্রেতা সজল চৌধুরী বলেন, ‘গড়েয়াতে ১১টি খেলার মাঠ আছে৷ কিন্তু আমি যে জমি কিনেছি, সেটা কোনো খেলার মাঠ নয়, ব্যক্তিমালিকানার জমি। জমি ক্রয়ের পর সেখানে সাইনবোর্ড টানাতে গেলে আমার কাছে ৪০ লাখ টাকা দাবি করা হয়৷ আমি টাকা না দেয়ায় আমার ওপর হামলা চালানো হয়। আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। আমরা মামলা করেছি।

‘চাঁদাবাজদের একটি পক্ষ জমিটিকে খেলার মাঠ দাবি করছে। কিন্তু কাগজে-কলমে কোথাও সেটি খেলার মাঠ উল্লেখ নেই। এ নিয়ে অনেকবার বসাও হয়েছে। তাদের চাঁদা দেই না বলে তারা বারবার আমাদের সমস্যা করছে। আমরা বিচার চাই।’

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর ওই জমিটিকে খেলার মাঠ আখ্যায়িত করে এটি রক্ষার দাবিতে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে স্থানীয় একটি পক্ষ। ২৭ নভেম্বর রাতে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের মুক্তির দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার ইউএনও আবু তাহের শামসুজ্জামান বলেন, ‘গড়েয়ার সেই কথিত খেলার মাঠ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি পক্ষ আমার কাছে এসেছিল। এটি নিয়ে মামলা চলায় শুনানি করা হয়নি।’

ইউএনও জানান, গড়েয়ার সেই জমিটিকে সরকারি কোনো রেকর্ডেই খেলার মাঠ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর