বিএনপির দুই নেতা রুহুল কবির রিজভী ও ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাসে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়িত। তাদের ও নির্দেশের ভিডিও আমাদের কাছে আছে। আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছে, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
‘তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আদালত জামিন বাতিল করেছে, এখানে সরকারের কিছু করার নেই।’
২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজকে আসামি করে মামলা করা হয়। ১ ডিসেম্বর মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ছিল।
সেদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিনজন হাজিরা দেন, কিন্তু রিজভীসহ তিনজন হাজির হননি। এরপর বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০২০ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচন বানচাল করার অভিযোগে করা মামলায় সোমবার বিএনপির আলোচিত নেতা ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে জায়গা দেয়া হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আলোচনার সময় তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। তাদের সেখানে অনীহা কেন? রাস্তায় সভা করলে গাড়ি ভাঙা যায়। মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, কিন্তু তারা তা বলে না।
‘মতিঝিলের রাস্তা তাদের কেন এত পছন্দ? এর পেছনে দুরভিসন্ধি আছে। তারা সমাবেশ করতে চায় না। ইস্যু তৈরি করতে চায়, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। কেউ এ চেষ্টা চালালে দলের নেতারা জনগণকে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে থাকবে না, এটা জনগণ ঠিক করবে। কূটনীতিকদের এ সুযোগ নাই। তারা কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ক্ষমতা রাখে না। তারা ছুটে যায় বলে কূটনীতিকরা অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ পায়।
‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বললে সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি।’