বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগের কর্মীদের মুখে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে জল্পনা

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:১৬

ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেতা-কর্মীরা আসা শুরু করেছেন। তাদের কথাবার্তার দিকে একটু আঁড়ি পাতলেই শোনা যাবে নেতৃত্ব নিয়ে তাদের ধারণা। সবার মুখেই কথা, কারা আসছেন নেতৃত্বে। কেউ কেউ আবার কোন পদ প্রত্যাশীদের নাম বলছেন এবং কেন তিনি আসতে পারে সেটিও আলোচনা করছেন।

আজ উপমহাদেশের প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন। দীর্ঘ চার বছর পর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হওয়া সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন।

ছাত্রলীগ সুত্র বলছে, ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে কারা আসছেন সেটি ঘোষণা হতে পারে আজই।

দীর্ঘ চার বছর পর নতুন নেতৃত্ব পাবে এই আশায় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সকাল ৮টায় সম্মেলনে প্রবেশের গেট উম্মুক্ত করা হয়।

ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেতা-কর্মীরা আসা শুরু করেছেন। তাদের কথাবার্তায় একটু আঁড়ি পাতলেই শোনা যাবে নেতৃত্ব নিয়ে তাদের ধারণা।

সবার মুখেই কথা, কারা আসছেন নেতৃত্বে। কেউ কেউ আবার কোন পদ প্রত্যাশীদের নাম বলছেন এবং কেন তিনি আসতে পারে সেটিও আলোচনা করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে থেকে টিএসসি রোডের শুরুতে ভিসি চত্বরের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছেন। সেখান দিয়ে কোন গাড়িকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।

নেতা-কর্মীরা এর আগেই তাদের বাহন পার্কিং করে ভিতরে প্রবেশ করে সম্মেলনস্থলে আসছেন। পার্কিং স্পট হিসেবে ব্যাবহার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বর এলাকাকে। এতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মনে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যত প্রোগ্রামই হোক সব প্রোগ্রামের পার্কিং স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ক্যাম্পাস। এটি ত কোন পার্কিং স্পট না। গাড়ি রাখার জন্য অনুমোদন দিলেও সমস্যা নেই। কিন্তু যাদের গাড়ি রাখা হচ্ছে তারা খাবারের উচ্ছিষ্ট এখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে। পরিষ্কারও করা হয় না।’

এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে স্লোগান দিতে দিতে নেতা-কর্মীরা আসা শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনার কারণে তাদের হাতে কারও নামে ব্যানার দেখা যায়নি। কারও নামেও তারা স্লোগান দিচ্ছেন না। সবাই একই স্লোগান দিচ্ছেন, ৩০তম সম্মেলন সফল হোক। এই স্লোগান দিতে দিতে সবাই সারিবদ্ধভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট দিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করছেন।

কী অনুভূতি জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ছাত্রলীগের এক কর্মী বলেন, ‘চার বছর পর নতুন কমিটি হচ্ছে। এটা অবশ্যই একজন কর্মীর জন্য খুব খুশির খবর। আমরা চাই, যিনি এলাকা প্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে সব কর্মীদের সমানভাবে মূল্যায়ন করার মানসিকতা আছে এরকম কেউ নেতা হোক।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সম্মেলন হলেই তৃণমূল কর্মীদের মাঝে যেমন উচ্ছ্বাস বিরাজ করে তেমনি সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি করে। সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আরও বেগবান করতে ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ অবশ্যই আমাদের উৎসবের কারণ।’

তিনি বলেন, ‘আগামীর নেতৃত্বে এমন নেতৃত্ব আসুক যারা শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষহীন। যারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জন্য ভূমিকা রাখতে পারবে।’

এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে সভাস্থলের বিভিন্ন স্পটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।

এ বিভাগের আরো খবর