অনিয়মে বন্ধ থাকা গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন আগামী ৪ জানুয়ারি ভোটের তারিখ ঠিক করে।
মঙ্গলবার ইসির সভা শেষে সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হবে। আগের মতো এ নির্বাচনের ভোটে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে মনিটরিং করে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। অনিয়ম ধরা পড়লে ভোট গ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোট শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই এ ভোট বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ভোট বন্ধের ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়ে বর্তমান কমিশন৷ এরপর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই তদন্ত কমিটি করে ইসি।
গত জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচ উপপরিদর্শক ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের মঙ্গলবারের সভা শেষে সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১২ অক্টোবর তারিখে গাইবান্ধার যে ভোটটি স্থগিত করা হয়েছিল, সেটি আগামী জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ বুধবার হবে। ভোট গ্রহণ সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।’
তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সুপারিশে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে এ ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
‘এ ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। সিসি ক্যামেরা থাকবে। আগে যেভাবে ভোট হয়েছে, সেভাবেই হবে।’
এ ভোটে এজেন্ট কারা থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সিইসি স্যার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। যারা এজেন্ট ছিলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বস্তার মধ্যে যে তালিকা আছে, ওগুলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উন্মুক্ত করবে। তাতে তারা যাতে দায়িত্ব পালন করতে না পারে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
ভোটে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এগুলো অবশ্যই থাকবে। নির্বাচনে যেহেতু আংশিক তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে সমস্ত কার্যক্রম বিধি মোতাবেক অনুষ্ঠিত হবে।’
ঠিক কবে প্রচারণা চালানো যাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘তারিখ ঘোষণার পরপরই প্রচারণায় কোনো বাধা নেই। কাল থেকেই পারবে।’
পরে ইসি সচিব বলেন, ‘যেহেতু আমরা নির্বাচন ঘোষণার তারিখ ঘোষণা দিয়েছি, সুতরাং নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা আমাদের বিধান অনুযায়ী শুরু করতে পারবে।’