দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে ১০ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে তাকে আপিলের অনুমতিও দিয়েছে আদালত।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ পাঁচ বিচারকের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজি সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজি সেলিম।
২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করে।
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে ফের শুনানির নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
সে অনুসারে শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়।
রায়ে ১০ বছরের দণ্ড বহাল থাকলেও তিন বছরের সাজা থেকে খালাস পান হাজি সেলিম। ওই রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
চলতি বছরের ৯ মার্চ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়। রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন হাজি সেলিম। আদালতের দণ্ড মাথায় নিয়ে হাজি সেলিম দেশ ছাড়ায় শুরু হয় বিতর্ক।
৫ মে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন হাজি সেলিম। পরে ২২ মে হাইকোর্টের রায় অনুসারে আত্মসমর্পণ করার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক শহিদুল ইসলাম জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান।