বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্রলীগের সম্মেলন আজ, বয়স নিয়ে চিন্তায় পদপ্রত্যাশীরা

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০৩

এবার ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী ২৫৪ জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন।

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন আজ (মঙ্গলবার)। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলন ঘিরে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে সংগঠনটি। তবে বয়স নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পদপ্রত্যাশীরা। কেননা এখন পর্যন্ত প্রার্থী হওয়ার বয়সের সময়সীমা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি।

পদপ্রত্যাশীরা বলছেন, প্রতি দুই বছর পর পর সম্মেলন ও কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও এবার প্রায় ৫ বছর পর সম্মেলন হচ্ছে। এ কারণে সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়ার মতো অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মী বয়সের ফাঁদে বাদ পড়তে পারেন। এমনটা যাতে না হয় সে জন্য নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে কমিটি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বহীনতা ও পদ না ছাড়ার ইচ্ছা থেকেই কমিটি গঠনের বিষয়ে কালক্ষেপণ করেছেন তারা।

দলীয় সূত্র জানায়, এবার ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী ২৫৪ জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৯৬ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৫৮ জন।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের আবেদনপত্র নিয়েছি। সেগুলো দায়িত্বশীলরা যাচাই-বাছাই করছেন।

বয়স নিয়ে নেত্রীর চিন্তাভাবনা আছে। তিনিই সম্মেলনের দিন বিষয়টি জানিয়ে দেবেন। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নতুন কমিটি হবে।’

প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠার সময় এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সংগঠনটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নাম গ্রহণ করে।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এবার তা হচ্ছে প্রায় পাঁচ বছর পর। সংগঠনটির চলতি কমিটি নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে সম্মেলন হলেও কমিটি ঘোষণা করা হয় জুলাইয়ে। এতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানী।

পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পদ হারান দু’জন। তাদের স্থলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্যকে।

২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্যকে ‘ভারমুক্ত’করা হয়। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কমিটি নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে।

এবার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা নিয়েও হয় নানা নাটকীয়তা। প্রথমে ৩ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা দেয়া হলেও তা সংশোধন করে পরে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর করা হয়।

সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নির্বিঘ্ন করতে ছাত্রলীগের সম্মেলন একদিনে করা হবে এবং তারিখ এগিয়ে নিয়ে সেটা হবে ছয় ডিসেম্বর।

এদিকে ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আগে থেকে প্রস্তুত করা আছে মঞ্চ। সম্মেলনে যোগ দিতে জেলা-উপজেলা থেকে কাউন্সিলর-ডেলিগেটরা ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

এদিকে ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি জানায়, ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে যানজট নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে রাজধানীর কাটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাবি মেডিক্যাল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাবি ভাস্কর্য ক্রসিং, উপাচার্য ভবন ক্রসিং এলাকায় সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক ডাইভারশন চলবে।

এক্ষেত্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা এড়িয়ে চলাচলে নগরবাসীকে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর