চায়ের দোকানে বসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে মামুন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ইসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুন ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সেলসম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আহত নুরনবী টাগারপাড় হক বাজার এলাকার মান্নান মিয়ার পুত্র।
ফতুল্লা থানার ওসি রিজাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি জানান, বিকেলে ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় একটি চায়ের দোকানে জুয়েল ও পাপ্পু নামে দুজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেড়ে সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে ছুরিকাঘাতে মামুন মারা যান।
মামুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত নুরনবী নামে অন্য যুবককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।
নিহত মামুনের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ হোসেন জানান, দেড় বছর আগে মামুন বিয়ে করে ওই এলাকায় ভাড়া ছিলেন। তিনি গাড়িতে করে বিভিন্ন দোকানে একটি কোম্পানির বিস্কুট, চানাচুর সরবরাহ করতেন।
হোসেন বলেন, ‘কাজ থেকে সন্ধ্যায় এলাকায় আসে মামুন। পরে খবর পাই তাকে কুপিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে গেছে। হাসপাতালে এসে দেখি মামুন মারা গেছে।’