এশিয়ার দেশগুলোকে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো অবস্থা এড়িয়ে চলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেন, ‘ইউরোপের উন্নত ও অর্থনৈতিক শক্তিসম্পন্ন দেশগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপর্যয়ে পড়েছে। বাংলাদেশসহ আমাদের অঞ্চলের দেশগুলোর বিষয়টি মাথায় রেখে বিপর্যয় এড়িয়ে চলা উচিত।’
সোমবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে দেখা করতে আসেন চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘৩ বছর চার মাস আগে আমি বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাই। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত থাকার সময়টা আমি খুব উপভোগ করেছি। বাংলাদেশ একটি অসাধারণ দেশ। বাংলাদেশের মানুষ খুবই বন্ধুবৎসল।
‘চীনা প্রেসিডেন্ট আমাকে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি মনে করি গত ৩ বছর চার মাসে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে বেশ কিছু অর্জন আছে। করোনার সময় বাংলাদেশ-চীন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। দুই দেশ বেশকিছু প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছু প্রকল্প শেষ হয়েছে। সামনে বেশ কিছু প্রকল্প শেষ হবে।’
লি জিমিং বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেশটি অর্থনৈতিকভাবে ভালো করছে। সামনের দিনে বাংলাদেশ আরও অনেক ভালো করবে বলে আমি আশাবাদী।’
বিআরটি প্রকল্পে দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় চীনা কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের এখতিয়ার।’
বাংলাদেশের সঙ্গে চীন, ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাইলে লি জিমিং বলেন, ‘সবাই সবার বন্ধু হওয়া উচিত। এখানে কেউ কারও বিরুদ্ধে কৌশলে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়। আমরা যদি ইউরোপের দিকে তাকাই তাহলে বিষয়টি বোঝা যাবে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তারা বিপর্যয়ে পড়েছে। বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোর বিষয়টি মাথায় রেখে বিপর্যয় এড়িয়ে চলা উচিত।’
বিদায়ের সময় চীনের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা উপহার দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।