বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধান বিচারপতির কাছে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের নালিশ

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৫৫

চিঠিতে বলা হয়, সারা দেশে রাজনৈতিক বিরোধীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা নিপীড়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখ বিরোধী কর্মীকে প্রায় এক লাখ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় জড়ানো হয়েছে।

বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে নালিশ করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে দেখা করে লিখিত এসব দাবি জানান।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আরও কয়েকজনের একটি দল যায় প্রধান বিচারপতির কাছে।

ফোরামের লিখিত আবেদনে বলা হয়, ২০০৭ সালের শুরু হওয়া ক্ষমতার সুস্পষ্ট নতুন রূপের অবাস্তব সংস্কার, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য এবং উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতে বিচারক নিয়োগে ক্রমবর্ধমান রাজনীতিকরণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতাকে আরও খর্ব করেছে। এর ফলে বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং দক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না এবং এর প্রতি জনগণের আস্থা কমে গেছে।

চিঠিতে বলা হয়, সারা দেশে রাজনৈতিক বিরোধীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা নিপীড়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখ বিরোধী কর্মীকে প্রায় এক লাখ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় জড়ানো হয়েছে।

এই ধরনের রাজনৈতিক মামলাগুলো ‘রাজনৈতিক নিপীড়নের’ উৎকৃষ্ট উদাহরণ ছাড়া আর কিছুই নয় বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। বলা হয়, রাজনৈতিক বিরোধীদের নিপীড়ন ও বিচার করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা বিচার ব্যবস্থার এই ধরনের উদ্বেগজনক ব্যবহার, সংবিধানের মৌলিক অধিকারের একটি পরিহাসমূলক লঙ্ঘন এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, পবিত্রতা ও মর্যাদার ভূলণ্ঠন।

সরকার বিএনপির আন্দোলনকে দমন করতে বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে বলেও অভিযোগ করা হয় চিঠিতে। বলা হয়, এর ফলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা কমছে।

ফোরামের চাওয়া

প্রধান বিচারপতির কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

প্রথমত. বিচারব্যবস্থার প্রতি জনসাধারণের উপলব্ধি, বিশ্বাস এবং আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য এমন পদক্ষেপ যেন গ্রহণ করা হয় যাতে প্রমাণিত হয় যে বিচার বিভাগ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত।

দ্বিতীয়ত. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ সালের অধীনে মামলাসহ রাজনৈতিক মামলাগুলি এমনভাবে পরিচালনা/বিচার করা যাতে বিচার বিভাগের উপর জনগণের বিশ্বাস এবং আস্থা ফিরে আসে।

তৃতীয়ত. আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো আমলে নিয়ে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, মর্যাদা এবং সম্ভ্রম পুনরুদ্ধারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এ বিভাগের আরো খবর