আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা রাজধানীতে সমবেত হতে শুরু করেছেন।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় প্রচুর জনসমাগম হবে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা এড়িয়ে চলার নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সম্মেলন ঘিরে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে যানজট নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে রাজধানীর কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাবি মেডিক্যাল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাবি ভাস্কর্য ক্রসিং, উপাচার্য ভবন ক্রসিং এলাকায় সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক ডাইভারশন চলবে।
এ ক্ষেত্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা দিয়ে চলাচলে নগরবাসীকে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
এদিকে সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। আগে থেকে প্রস্তুত করা আছে মঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও এবার তা হচ্ছে প্রায় পাঁচ বছর পর। সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে সম্মেলন হলেও কমিটি ঘোষণা করা হয় জুলাইয়ে। এতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী ও গোলাম রাব্বানী।
পরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পদ হারান দুজন। তাদের স্থলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্যকে।
২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আল নাহিয়ান খান ও লেখক ভট্টাচার্যকে ‘ভারমুক্ত’ করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে।