হঠাৎ করে কারো নজরে এলে এটিকে বাইক না ভেবে অন্য কিছুও ভেবে বসতে পারেন। কারও মাথায় আসতে পারে ছোট্ট এক সবুজ বাগানের কথাও। আর সেই বাগানের মাঝখানে বসে থেকেও যিনি রাজধানীজুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি হাবিবুর রহমান।
পেশায় রংমিস্ত্রি হাবিবুরের কাজই হলো দেয়াল থেকে দেয়াল নানা রঙে রঙিন করে তোলা। তবে নিজের বাইকটিকে তিনি এমনভাবে সাজিয়েছেন যেন সবুজ এক তৃণভূমি।
সবুজের প্রতি সবাইকে আকৃষ্ট করতেই হাবিবুরের এমন কাজ। বাইক ছেয়ে থাকা সবুজ ঘাসগুলো প্লাস্টিকের হলেও এর মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে সবুজ করার আহ্বান তার।
বাইকের উইন্ডশিল্ড থেকে হেডলাইট, মাডগার্ড, কভার সবই সবুজ ঘাসের আদলে ঢাকা। শুধু তা-ই নয়, হেলমেট থেকে ব্যাক লাইট, সবকিছুতেই জড়িয়ে আছে সবুজ ঘাস। আছে লতা-পাতা, ফুলও!
বাইকের তেলের ট্যাঙ্কি, কার্বোরেটর, ইঞ্জিন, পাদানি, হ্যান্ডেল, লুকিং গ্লাস কোনো কিছুই আর আগের মতো নেই। সবুজ ঘাস জড়িয়ে আছে হাবিবুরের জুতাজোড়াতেও!
রংপুরের লালমনিরহাটে বাড়ি হলেও হাবিবুর থাকেন ঢাকার উত্তরায়। বর্তমানে রঙের ঠিকাদারির কাজও করেন তিনি। পড়াশোনার দৌড় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।
সবুজ ঘাস আর লতা-পাতায় সাজানো বাইকের বিষয়ে তিনি নিউজবাংলাকে বলছিলেন, ‘সবুজকে ভালোবাসি। তাই সবুজের বার্তা দিতেই আমার এই চেষ্টা। সবাই গাছ-পালা ভালোবাসুক। পৃথিবীটাকে ভালো রাখুক। কেবল এই মেসেজটাই দিতে চাই সবাইকে।’
তিনি বলেন, ‘গাছপালা বেশি থাকলে, পৃথিবী যে ভালো থাকবে ৯০ ভাগ মানুষই তা জানে। আমার এই উদ্যোগকে তাই অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন।’