এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ এনে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি এক দিন পরেই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে সোমবার দুপুরের আগপর্যন্ত কর্মবিরতির কারণে তীব্র ভোগান্তির পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের আশ্বাসে কাজে ফেরেন চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রিয়াদ শাহেদ রনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য এক বয়স্ক নারীকে নিয়ে জরুরি বিভাগে আসেন স্বজনরা। তবে সেখানে পৌঁছার আগেই মারা যান তিনি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল হাসান ওয়াসিম ওই নারীকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন এবং জানান তাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তখন রোগীর স্বজনরা ওই চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে চলে যান বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে চিকিৎসক কামরুল হাসান দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
পরে রোববার সকাল থেকে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। এই কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়ে হাসপাতালের কার্যক্রম।
কিন্তু রোগীদের সে কথা জানা ছিল না। তারা দূর থেকে এসে হাসপাতালে চিকিৎসা হবে না শুনে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। এ ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে।’