প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টোকিও সফর এ বছর হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। সচিবালয়ে সোমবার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই সফর আয়োজনে দুই দেশ কাজ করছে। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সফর। আগে কিংবা পরে এই সফর হবে বলে প্রত্যাশা করছি। তবে চলতি বছরে এই সফর সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৯ নভেম্বর চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে টোকিও যাওয়ার কথা ছিল। তবে জাপানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে সফরটি স্থগিত করা হয়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আমার দায়িত্ব শেষ হতে যাচ্ছে। এখানে তিন বছর দুই মাস দায়িত্ব পালন করেছি। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে এসেছিলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।’
ইতো নাওকি বলেন, ‘বাংলাদেশে জাপানের দ্য বে অফ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) প্রকল্প রয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ২০১৪ সালে এই প্রকল্প নিয়েছিলেন।
‘বড় বড় প্রকল্পে কাজ করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার এমআরটির মেট্রোরেল ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প।
‘আঞ্চলিক কানেকটিভিটিসহ জাপান এসব প্রকল্প সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে চায় বলে আমি তথ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। মঙ্গলবার আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হতে যাচ্ছে। আমি আশা প্রকাশ করছি, দু-দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু হতে যাচ্ছে।’
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখানে আমার চমৎকার কিছু স্মৃতি রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ খুবই সদয়। তারা জাপানের প্রতি অনুরক্ত। তারা খুবই অতিথিপরায়ণ। আমি সিলেট, সুন্দরবন এলাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল, পাহাড়পুরসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। সেসব জায়গায় স্থানীয়দের কাছ থেকে বেশ সমাদর পেয়েছি।
‘জাপান-বাংলাদেশ পরীক্ষিত বন্ধু দেশ। আমরা নিজেদের মধ্যকার অংশীদারত্ব নতুন স্তরে নিয়ে যেতে চাই।’