নয়াপল্টনে বিএনপি যে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে না, সেটি আবার স্পষ্ট করলেন ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনারর খন্দকার গোলাম ফারুক।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নাকি নয়াপল্টন এ নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে বিপরীতমুখী অবস্থানের মধ্যে এই পুলিশ কর্মকর্তা এ কথা জানালেন।
নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা রাস্তায় অনুমতি দিব না। মাঠে অনুমতি দেয়া আছে।’
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বিএনপির ধারাবাহিক যে সমাবেশ হচ্ছে, তা শেষ হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
এই সমাবেশ কোথায় হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিরোধ। বিএনপি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চায়। ২০ নভেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আবেদনপত্র জমা দেয়া হয় ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে।
শুরু থেকেই জানা যাচ্ছিল সরকার সেখানে সমাবেশ করতে দিতে রাজি নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন জনসভার স্থল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, সেদিনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।
বিএনপি সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষের সমাগমের যে ঘোষণা দিয়ে রেখেছে, সেটি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান প্রশ্ন রাখেন, এত মানুষের জমায়েতের জায়গা নয়াপল্টনে আছে কি না।
এরপর তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপিকে পূর্বাচলে বা ইজতেমা ময়দানে যেতে বলেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পাচ্ছে বিএনপি।
তবে নয়াপল্টনের দাবিতে অনড় বিএনপির নেতারা প্রয়োজনে অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে রাখলেও রোববার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছুটা নমনীয় হন। তিনি সোহরাওয়ার্দীর বদলে বিকল্প জায়গা চান, তবে সেটি তুরাগ তীর হওয়া চলবে না, এটিও জানিয়ে দেন।
তার পরের দিন তথ্যমন্ত্রী আবার ইজতেমা ময়দান বা পূর্বাচলে যেতে বলেন বিএনপিকে। এর প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী দলটির কোনো বক্তব্য অবশ্য এখনও আসেনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আমরা মাঠে অনুমতি দেব। একজন অফিশিয়াল হয়ে আমি তো রাস্তায় অনুমতি দিতে পারি না। আর রাস্তার মালিক তো আমি না।’
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ নানা দাবিতে এর আগে যথাক্রমে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা, রাজশাহীতে সমাবেশ করেছে বিএনপি। কোথাও জনসভার স্থল নিয়ে ঢাকার মতো এই জটিলতা তৈরি হয়নি।