আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আগাম গোয়েন্দা তথ্য না থাকাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরর ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বাহিনীটি বলছে, এই ঘটনায় দায় এড়ানো যায় না।
সোমবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাই বা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে আমরা দায় এড়াতে পারি না। যদি আগে গোয়েন্দা তথ্য থাকত তাহলে এই ঘটনায় আমাদের প্রস্তুতি থাকত।
‘আগাম প্রস্তুতি থাকলে পদক্ষেপ নেয়া সহজ হতো, আমরা জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা রোধ করতে পারতাম। এ জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায় এড়াতে পারি না।’
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গিকে পুনরায় গ্রেপ্তারে র্যাবসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। যারা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়েছে তাদের পূর্বের অপরাধ কার্যক্রম, তাদের বিচরণ, সিসিটিভি বিশ্লেষণসহ সার্বিক দিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে।’
এ ধরনের ঘটনারোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, কারাগার নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিভাগ, গোয়েন্দাসহ সবার পক্ষ থেকে যদি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। ২০১৪ সালে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছিলেন। তারপর অনেকদিন পর এমন একটি ঘটনা ঘটল।’
র্যাব আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না মন্তব্য করে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, ‘আমরা সব সময় নজরদারি রাখছি। আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। এমন না যে, এমন ঘটনায় আমরা শতভাগ ফুলফিল করে কাজ করতে পেরেছি। দুই জঙ্গি পালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। একইভাবে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব অন্য সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ করে যাচ্ছে।’
পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি এখন দেশে নাকি দেশের বাইরে- জানতে চাইলে র্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটা বলার অবকাশ রাখছে না। আমরা কাজ করছি। আমরা তাদের পালানো, বিচরণ, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছি।’