ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ড পাওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ দুদকের আবেদন খারিজ করে তার জামিন বহাল রাখেন।
আদালতের দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, বাছিরের পক্ষে ছিলেন এসএম শাহজাহান।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করেছিল চেম্বার জজ আদালতের বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম। ওই দিন চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। আজ আপিল বিভাগ শুনানি শেষে তার জামিন বহাল রাখে।
গত ১৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এনামুল বাছিরকে জামিন দেয়।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। হাইকোর্টে এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুখ আলমগীর চৌধুরী।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ জামিন দিলেও পরে সেটি বাতিল করে দেয়। এরপর ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন এনামুল বাছির।
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন আবেদন করেন এনামুল বাছির। অন্যদিকে তার সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক। দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে।
২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুদকের পরিচালক ফানাফিল্লাহর নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম মিরপুরের দারুস সালাম এলাকা থেকে এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরের দিন ২৩ জুলাই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুদক।
২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান।