বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসার মেয়েশিশুর ঝুলন্ত মরদেহ, প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:০৬

নরসিংদীর মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের কুঁড়েরপাড় গ্রামের জামিয়া ক্বওমিয়া মহিলা মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া এক মেয়েশিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। এত ছোট শিশু আত্মহত্যা করতে পারে না অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েশিশু মাদ্রাসার শৌচাগারে আত্মহত্যা করেছে, শিক্ষকদের এমন দাবি মেনে নিচ্ছেন না শিশুটির স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ঘটনাটিকে হত্যা দাবি করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও করেছেন। পুলিশ বলছে, এই অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নরসিংদীর মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে শত শত মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তারা ঘটনার সঠিক তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

মেয়েটির নাম মাইশা। নরসিংদী সদর উপজেলা মাধবদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর গ্রামের নেছার উদ্দিন তার বাবা। একই ইউনিয়নের কুঁড়েরপাড় গ্রামের জামিয়া ক্বওমিয়া মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয় তাকে।

এই মাদ্রাসার আবাসিক শাখার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল মেয়েটি। ১ ডিসেম্বর বিকেলে শৌচাগার থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েশিশুকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি করে নরসিংদীর মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেন। ছবি: নিউজবাংলা

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরিবার বলছে, নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

মেয়েটির বাবা নেছারউদ্দিন জানান, মাইশার গায়ে মারধরের দাগ পাওয়া গেছে। তাই এটা অবশ্যই হত্যা।

স্থানীয় একজন বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া শিশু কোনোভাবে আত্মহত্যা করতে পরে না। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যা বলেছে তা বানোয়াট, মিথ্যা।

প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের কাছে দাবিও জানানো হয় বিক্ষোভে।

মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আহসান উল্লাহ জানান, মাইশা শৌচাগারে ঝুলে থাকলেও তার পা ফ্লোরের কাছাকাছিই ছিল।

যে শৌচাগারে মেয়েটির মরদেহ পাওয়া গেছে, সেটি চতুর্থ তলায়। কিন্তু মাইশার শ্রেণিকক্ষ ছিল তিন তলায়। আবার তার গলায় যে ওড়না আর পানির পাইপে যে গামছা বাঁধা ছিল, তা-ও মাইশার নিজের নয়।

মাইশার বাবার করা মামলায় বলা হয়েছে, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় অজ্ঞাত আসামিরা শিশুটিকে হত্যা করে চারতলায় শৌচাগারে পানির পাইপের সঙ্গে ওড়না ও গামছা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাইশার বাবার দেয়া অভিযোগটি আমরা আমলে নিয়ে মামলায় নথিভুক্ত করেছি। তদন্ত চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর