১৫ আগস্ট শহীদ সবার পরিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
রোববার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনির ৮৪তম জন্মদিবসের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ সেলিম বলেন, ‘শেখ পরিবার দেশে যেন আর কোনোদিন কথা বলতে না পারে, সেজন্য শেখ মুজিবকে সপরিবারে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ যদি চায় কেউ কিছু করতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর পরিবার হচ্ছে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ত্যাগের পরিবার। আমরা ভোগ চাই না, আমরা ত্যাগ করার জন্যই আছি। আমাদের সম্পর্কে কেউ কোনো বদনাম করতে পারবে না।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘ওর (ফজলে নুর তাপস) বাবা-মার কথা কিছু মনে নেই। পরশের আবছা আবছা মনে আছে। কী অপরাধ করেছেন বঙ্গবন্ধু, কী অপরাধ করেছেন মনি ভাই? তাদের অপরাধ কি এই যে তারা এদেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন? খুনিরা বঙ্গবন্ধুসহ আমাদের পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে হত্যা করেছে। এত বড় অপরাধ আল্লাহ সইবে না। যারা করেছে তারা নিশ্চয়ই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
শত প্রতিকূলতার মধ্যেও পরশ-তাপসকে নিজের সন্তানের মতো আগলে রেখেছিলেন জানিয়ে শেখ সেলিম আরও বলেন, ‘আমি আজ অনুষ্ঠানে এসে অত্যন্ত আনন্দিত। আমার সেই তাপস আজ দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। শিক্ষা-দীক্ষায় বড় হয়েছে। মণি ভাই থাকলে হয়তো এর চেয়ে বেশি করতে পারতেন। কিন্তু আমি ও আমার স্ত্রী কখনো কাউকে ওদের গায়ে একটা টোকা পর্যন্ত দিতে দেইনি।’
সভাপতির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র ও শেখ ফজলুল হক মণির ছোট ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস তার বাবাকে ‘বাংলাদেশের চে গুয়েভারা’ ও ‘আওয়ামী লীগের থিংক ট্যাংক’ হিসেবে অভিহিত করেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘চে গুয়েভারাকে যেমন বিপ্লবের, কমিউনিস্ট সংগ্রামের অন্যতম নেতা বলা হয়, তেমনি শেখ ফজলুল হক মণি। তিনি বাংলাদেশের বিপ্লবের, সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের চে গুয়েভারা ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণি। শেখ মণি শুধু সংগ্রাম করেননি, কেবল নেতৃত্ব দেননি, তিনি একজন থিংক ট্যাংকও ছিলেন। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কী হবে, কীভাবে আমাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, এসব তিনি লেখনীর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে গেছেন।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংরক্ষিত মহিলা আসন-২ এর সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া বক্তব্য দেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।